সিলেটের গোলাপগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় ফুয়াদ আহমদ (১৩) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২১ মার্চ) রাতে মারা যায় ফুয়াদ। সে উপজেলার ভাদেপাশা ইউনিয়নের বাগলার মীরের চক গ্রামের সৌদি প্রবাসী খছরুল আলমের পুত্র ও বাগলা হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র।
খবর পেয়ে বুধবার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে।
ফুয়াদের চাচাতো ভাই নাছির মাহমুদ জানান, কয়েকদিন আগে ফুয়াদের পায়ের কিছু অংশ কেটে যায়। পরে বুধবার বিকেলে স্থানীয় বাগলা বাজারের হামিদ ফার্মেসীতে টিটি ইনজেকশন দেওয়ার জন্য নিয়ে আসেন ফুয়াদের মা। এ সময় হামিদ ফার্মেসীর পরিচালক ফার্মাসিস্ট হাাফিজ খালেদ আহমদ ফুয়াদকে একটি ইনজেকশন পুশ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ফুয়াদের সারা শরীরে ঝাকুঁনি শুরু হলে তাকে তাৎক্ষণিক আরো দুটি ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। পরে তার অবস্থা আশংকাজনক হলে ঢাকাদক্ষিণের একজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাইকে এই ডাক্তার ভুল চিকিৎসা দিয়ে মেরে ফেলেছে।
এ ব্যাপারে কুশিয়ারা পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মুরাদ উল্লাহ বাহার বলেন , আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। লাশের ময়না তদন্তের পর বৃহস্পতিবার জানাজার শেষে লাশ দাফন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে ভুল চিকিৎসায় ফুয়াদকে মেরে ফেলার অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বিষয়টি বুঝা যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. বি কর্মকার বলেন, আমার কাছে নিয়ে আসার আগে ফুয়াদের মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যরা আমাকে ট্রাক্সন নামের একটি ইনজেকশনের কাভার দেখিয়েছেন। যা নিউমোনিয়া, টাইফয়েড হলে দেওয়া হয়।
বাদেপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। ফুয়াদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে এ ব্যাপারে জানতে ‘হামিদ ফার্মেসীর প্রোপাইটার’ ফার্মাসিষ্ট হাফিজ খালেদ আহমদের মোবাইলে কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। খালেদ বাগলা-মাইজপাড়ার সিরাজ উদ্দিনের পুত্র বলেও জানা যায়।
এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম ফজলুল হক শিবলী বৃহস্পতিবার জানান, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি, তবে প্রস্ততি চলছে।