বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল, ভালোবাসায় মোড়া অনুষ্ঠান

সুব্রত কুমার দাস:

দুইদিনের অনুষ্ঠান। প্রথম দিনে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। ব্যক্তিগত অসুবিধার জন্যে। কিন্তু সন্ধ্যা থেকেই বিপুল সংখ্যক পরিচিত জনের ফেসবুক ওয়ালে ‘লাইভ’ দেখে বিস্মিত হয়েছি। এত বন্ধু গেছেন অনুষ্ঠানে! না জানি আরও অচেনা কতশত জন গেলেন! বিস্মিত হবার কারণ, অতীতে কোনো অনুষ্ঠানে এতো বিপুল ‘লাইভ’ দেখিনি আমি। তাছাড়া, তারা তো বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালের সাথে যুক্ত মানুষ নন, কিন্তু তারপরও তাদেরও মধ্যে এমন তীব্রতা?
রোববার পৌঁছতে পৌঁছতে নয়টা বেজে গেল। মূল মিলনায়তনে পৌঁছনোর পথে কী বিপুল সংখ্যক বাঙালির উপস্থিতি! এতো স্পন্সর, এতো উদ্যোক্তার সম্মিলন! পথের বাঁ পাশে বিশাল কক্ষে বিভিন্ন পশারের উপস্থাপনা। এতো জনসমাগম! মিলনাতনে ঢুকে জায়গা পেতেই অস্থির অবস্থা। শহরের সব বাঙালি যেন ভেঙ্গে পড়েছেন অনুষ্ঠানস্থলে। কিন্তু তারপরেও এত শৃঙ্খলা কীভাবে সম্ভব বাঙালি অনুষ্ঠানে! তখন গান গাইছিলেন আগুন। এরপর মঞ্চে এলেন শুভমিতা। শত শত দর্শকের মনকে যেন সুরের যাদুতে বন্দি করে রাখলেন।
খুব মনে হচ্ছিল, কতটা ভালোবাসা থাকলে এত বিপুল সংখ্যক বাঙালি একটি অনুষ্ঠানে আসেন! কতটা ভালোবাসা থাকলে এত বিপুল সংখ্যক জন অনুষ্ঠানে তাদের উপস্থিতি ফেসবুকে জানান দেন। সত্যি কথা বলতে কী টরন্টো শহরে গত চারবছর সময়কালে বাঙালিদের কোনো অনুষ্ঠানে এমন জনসমাগম দেখিনি।
অভিনন্দন বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল টিম – শহরের সহস্র মানুষের ভালোবাসায় মোড়ানো অভিনন্দন।

ছবি: বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল পেইজ

 

 

শেয়ার করুন