সাতটি অগ্রসর দেশের জোট জি-সেভেনের নেতারা বিশ্বের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়াবলি নিয়ে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান ঠিক করে নেওয়ার চেষ্টায় বছরে একবার শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হন। চাপমুক্ত পরিবেশে অন্তরঙ্গ আলোচনা চালানোর উদ্দেশ্যে বার্ষিক এই সম্মেলন সাধারণত রাজধানী থেকে দূরের কোনো অবকাশকেন্দ্রে আয়োজন করা হয়।
আগামী জুনে কানাডার কুইবেকে অনুষ্ঠেয় জি সেভেন সম্মেলনে যোগ দেবেন কানাডিয়ান-বাংলাদেশী পাবলিক এফেয়ার্স কমিটি (CBPAC)’র সন্মানীত প্রেসিডেন্ট জনাব ফেরদৌস বারী। উনি বর্তমানে কানাডার মুল ধারার রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। লিবারেল পার্টি অব কানাডার Federal liberal Vice President হিসেবে তিনি কানাডার মূলধারার রাজনীতিতে অতান্ত দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি লিবারেল পার্টির সন্মেলনেও ডেলিগেট হিসেবে আটলান্টিক কানাডার হেলিফেকস শহরে যোগ দেন । প্রসঙ্গত গত ১০ই জানুয়ারী কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সংবাদ সম্মেলনে CBPAC এর পক্ষ থেকে কানাডায় বসবাসরত বঙ্গবন্ধুর খুনী, ঘাতক নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানান ফেরদৌস বারী।
সন্মেলন উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কানাডা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। আগামী জুনে কানাডার কুইবেকে অনুষ্ঠেয় জি সেভেন সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত আগ্রহে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জি-সেভেনের এবারের সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুটির বিশেষ প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। কারণ সম্মেলনটির এবারের মূল ভাবনা হলো লৈঙ্গিক উন্নয়ন। টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মেলন সংক্রান্ত সাম্প্রতিক এক অনুষ্ঠানে ফ্রিল্যান্ড বলেছিলেন, লৈঙ্গিক পরিপ্রেক্ষিতকে আমরা যা করি ও যে বিষয়ে কথা বলি তার সবকিছুর একটি প্রধান অংশ হিসেবে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, আমাদের আশেপাশের অনেক বিষয়েরেই কেন্দ্রীয় অংশ হলো লিঙ্গ।জি-সেভেন সম্মেলনে কানাডা ছাড়াও ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেবেন।
সুত্রঃ nww24.com