নবীগঞ্জে একদিকে ভাঙা রাস্তা, অন্যদিকে যানবাহনে যত্রতত্র যাত্রী উঠা নামায় যানজটে অতিষ্ট জন সাধারন

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ পৌর শহরতীর প্রধান সড়কগুলো একদিকে ভাঙা রাস্তা অপর দিকে যানজট থাকায় পৌরবাসীর জন দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। সেই সাথে পানি নিস্কাশনের সুষ্ট কোন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিপাতেই শহরের ওলি-গলিতে পানি জমে জন চলাচলের মারাত্বক বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে ময়লার স্তুপ বৃষ্টির পানিতে পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। শহরতলীর মধ্য বাজার ওসমানী রোড, শেরপুর রোড, অভয়নগরসহ শহরের গুরুত্ব সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থা অপ্রতুল রয়েছে। ড্রেন থাকলেও ভেতরে ময়লা আবর্জনায় থাকছে ভরপুর। ফলে দুর্গন্ধ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। অপরদিকে, শহরতলীর সালামতপুরে কোটি টাকা ব্যয়ে বাস টার্মিনাল স্থাপিত হলে ওই টার্মিনাল থেকে সিলেট ও মৌলভীবাজারের বাস যাতায়াত করার কথা ছিলো। কিন্তু এই টার্মিনালের বাস কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে শহরের ভেতরে প্রবেশ করে শেরপুর রোড অতিক্রম করে শহরের ব্যস্ততম নতুন বাজার মোড় আব্দুল মতিন স্কোয়ারে যাত্রী ওঠা নামা করায় জুয়েল ম্যানশন থেকে শিবপাশা রুদ্রগ্রাম সড়ক পর্যন্ত প্রতিদিনই অসহনীয় যানজটের কারণে যাত্রী সাধারণকে অসহনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো শহরের মধ্যে পানি আর কাদা একাকার হয়ে শহরবাসীর স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়। ময়লা-আবর্জনা ফেলার কোনো স্থান নেই। সব ময়লা আবর্জনা ফেলা হয় থানার ডাকবাংলোর সামনের খালে ও সদর হাসপাতাল গেইটের সামনের খাল সহ যত্রতত্র স্থানে। ফলে এসব জন গুরুত্বপূর্ন স্থানে ময়লা ফেলায় দুর্গন্ধে জন সাধারন নাকে হাত ও রোমাল দিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। নবীগঞ্জ শহরের ব্যস্থতম সড়ক শেরপুর সড়কে ওয়ানবাই রোড এর দু‘পাশের গলিতে মাছ, সবজি বাজার বসিয়ে অবৈধ পন্থায় ব্যবসা করে আসছে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা। তাদের মদদ দিচ্ছে একটি মহল। এছাড়া শহরের মধ্যবাজার ওলিগলিতে সবজি বাজার বসানোর ফলে সামান্য বৃষ্টি হলে পানি ময়লা ও কাদায় একাকার হয়ে যায়। পৌর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন বলে অভিযোগ করছেন ভোক্তভূগীগন। একদিকে মাছ সবজি বাজার অপরদিকে বাস রিক্সা, টমটমের লেগুনা, সিএনজি অটোরিক্সার গণ পাঠাগার থেকে শুভেচ্ছা পয়েন্টের ব্যাবসায়ীদের নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে। নবীগঞ্জ শহরের উপজেলা কোয়ার্টার সংলগ্ন অভয়নগর খাদ্য গুদাম সড়কের অবস্থা আরো করুন। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে খাদ্য গুদাম থেকে ট্রাক বোঝাই করে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা ছাড়া এ সড়কের উপর দিয়ে প্রতিদিন অভয়নগর, ওসমানী রোড, মুক্তাহার, পাঠলী বুরুঙ্গা ও কমলাপুরের অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। পৌর মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী স্থানীয় চাইরা বন্ধে তার জমিতে পাশ দিয়ে নতুন কল্পে সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েও এই গুরুত্বপূর্ন অভয়নগর সড়কটির ব্যাপারে উদাসীন। নবীগঞ্জ শহরের শাখা বরাক নদী সংলগ্ন কাচা বাজার গ্রোথ সেন্টার প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়। সেখানে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নিয়ে উদ্বোধন করা হলেও পূণরায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা শহরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। পৌর কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়ন্ত্রন না করে বরং শহরের ওলিগলিতে তাদের খাজনা উঠায়। পৌর মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী বলেন, নবীগঞ্জ শহরের যানজট নিরসনে বাস ষ্টেশন, কাচা বাজার, ড্রেন নির্মান করা হয়েছে এবং অচিরেই এর স্থায়ী সমাধান করার চেষ্টা চলছে। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন হাসান বলেন -যান নিরসনের জন্য ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের অভিযান চালিয়ে তোলা হবে। আর কেউ যত্রতত্র বাস তামিয়ে যাত্রী উঠানামা করা সঠিক  নয়।

শেয়ার করুন