বিশেষ প্রতিনিধি, সিলেট: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা ওহিদুজ্জামান শিপলু হত্যা মামলায় তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। তবে এ রায়ে সন্তুষ্ট নয় বাদী পক্ষের আইনজীবীরা। তারা উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
ওই মামলার অপর আসামি তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুলসহ বাকি ছয় আসামির অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রণয় কুমার দাস এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার পর আদালত আঙিনায় থাকা উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুলের কয়েক হাজার সমর্থক উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০২ সালের ২০ মার্চ রাত সাড়ে ৩টায় জোট সরকারের আমলে তাহিরপুর উপজেলার ভাটিতাহিরপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলামের বাড়িতে পুলিশ আসামি ধরতে গেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তাহিরপুর জয়নাল আবেদনী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ওহিদুজ্জামান শিপলু। ঘটনার তিন দিন পর তার মা আমিরুন নেছা বাদি হয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও চার বিনএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জের আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে তাহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিনকে ১০ বছরের কারাদন্ড দেন আদালত।
খালাস পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুনাব আলী, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল হাসান উজ্জ্বল, তাহিরপুর থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক রফিক এবং বিএনপি কর্মী শাহীন ও শাহজাহান।
বাদি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আফতাব উদ্দিন জানান, মামলার রায়ে তারা সন্তুষ্ট নন। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তারা।