তখন ১৯৮৪ সাল। আমরা একদল তরুন কুলাউড়া দাবড়ে বেড়াই। প্রতি বিকালে আড্ডায় আসত ২০/২৫ জন সদস্য। দক্ষিন/উত্তর দুই বাজারেই আমরা ঘুরি, ফিরি। কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে যারা রাজনীতি করতেন তাদের কেউ কেউ আসতেন, বোঝাতেন।
আমি একদিন আামর প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করলাম, “স্যার যারা রাজনীতিতে ভিড়াতে আসে তাদের সাথে আমার আলাপ আলোচনা কি ভাষায় করা উচিত?”
স্যার আমাকে একটি সহজ পথ বাতলে দিলেন। বল্লেন তাদের সবাইকে একটি কথাই বলবে “যদি ভবিষ্যতে রাজনীতি করি তবে আপনার বা আপনাদের দলের কথাই সবার আগে বিবেচনা করবো।“
আমার রাজনীতি জীবন এতটুকুই। পাঠ্যবই হিসাবে ইতিহাস আর রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়েছি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ করতে যেয়ে চট্টগ্রাম এলাকার সব গেরিলা যুদ্ধের সংকলন করেছি সেনা বাহিনীর মুক্তিযুদ্ধ প্রকল্পের অধীনে। এখন আবার ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে পড়ছি।
এতোবড় ভূমিকার সারমর্মে ছোট দু’টি কথা বলব। যারা আমার বয়সে ছোট –তাদেরকে-
অন্তত দু’একটি বই না পড়ে
অন্তত সংবিধান না পড়ে
অন্তত মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস না পড়ে-
দয়া করে রাজনীতিতে প্রবেশ করোনা। রাজনীতি শব্দটির মধ্যে নীতি রয়েছে। নীতিহীন নেতাদের পেছনে পেছনে হেটে রাজনীতি শেখার চেষ্টা না করাই উত্তম।
লিখেছেন