স্টাফ রিপোর্টার॥ কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহা-সড়কের সংস্কার কাজে চলছে অনিয়ম। ঠিকাদারের লোকজন বৃষ্টির মধ্যেই চালিয়ে যাচ্ছে সিলকুটের কাজ, দিচ্ছে কম থিকনেস। এতে অল্প দিনেই পিচ উঠে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। কাজে নানা অনিয়ম চললেও কার্যপ্রদানকারী সরকারী দফতর সড়ক ও জনপথ বিভাগ রয়েছে নির্বাক।
জানা গেছে, কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের কিছু অংশের মেরামত কাজ পান মৌলভীবাজারের ঠিকাদার খায়রুজ্জামান শ্যামল। সুত্রমতে তিনি প্রায় ৩ মাস আগে এ সড়কের কার্যাদেশ পান। কিন্তু তিনি সংস্কার কাজ ঝুলিয়ে রাখেন এবং বৃষ্টি শুরু হলে কাজ শুরু করান।
সরেজমিনে বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ বাজারের উত্তর দিকের রাস্তায় শুক্রবার সকালে বৃষ্টির মধ্যে সিলকুটের (পিচের) কাজ চলতে দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুর রহমান ফজলু, সাবেক ইউপি মেম্বার নজরুল ইসলাম, আব্দুস সহিদ মুক্তা প্রমূখ অভিযোগ করেন দীর্ঘদিন ধরে সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে লোকজন মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ঠিকাদার কয়েকদিন আগে কাজ শুরু করেছে। বৃষ্টির মধ্যে সিলকুটের কাজ চালিয়ে গেছে। তারা শুনেছেন প্রায় ৩ মাস আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এ কাজের কার্যাদেশ দিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে কাজ না করে বৃষ্টির মধ্যে ভিজা রাস্তায় সিলকুটের কাজ করায় পিচ উঠে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এছাড়া থিকনেস কমপক্ষে হাফ ইঞ্চি (১২ মিলি) দেয়ার কথা থাকলেও অনেক কম দেয়া হচ্ছে। এতসব অনিয়মের পরও সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিরবতায় তারা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ঠিকাদার খায়রুজ্জামান শ্যামলের ম্যানেজার প্রদীপ বাবু জানান, কাজ শুরুর পর বৃষ্টি আসলে তার কিছু করার নেই। তাছাড়া কোথাও পিচ উঠেনি এবং কাজে কোন অনিয়ম হয়নি বলে তিনি দাবী করেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যসহকারী মো. খলিলুর রহমান জানান, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এ সড়কে ১২ মিলি থিকনেসে ৩৫০ মিটার সিলকুটের কাজ পেয়েছেন। ওয়ার্ক অর্ডার কবে হয়েছে তা জানেন না। তবে বৃষ্টির মৌসুমেই ঠিকাদার কাজ ধরেছেন। শুক্রবার তিনি সাইটে যাওয়ার আগেই বৃষ্টির মধ্যে কাজ শুরু করলে তিনি গিয়ে বন্ধ করে দেন। অসুস্থ থাকায় ১দিন তিনি সাইটে যাননি। এদিনের কাজে থিকনেস কম হতে পারে। তবে তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।