স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি কৃষকনেতা মাস্টার ঈমান আলীর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শনিবার ২৬ মে সন্ধ্যা ৭ টায় মৃত্যু বার্ষিকী পালন উপলক্ষে কমলগঞ্জের শমসেরনগরের একটি সেন্টারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষক সংগ্রাম সমিতির মৌলভীবাজার জেলা কমিটির আহবায়ক অবনী শর্ম্মার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ জেলা কমিটির সভাপতি কবি শহীদ সাগ্নিক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি মো. নুরুল মোহাইমীন ও সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমলেশ শর্ম্মা, এনডিএফ নেতা মৃগেন চক্রবর্তী, চা-শ্রমিক সংঘের আহবায়ক রাজদেও কৈরী, কৃষক সংগ্রাম সমিতি মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সদস্য সৈয়দ আমির উদ্দিন ও মুহিব উদ্দিন সাগর।
সভায় বক্তারা বলেন, আমৃত্যু আপসহীন এই সংগ্রামী নেতা সকল ধরনের লোভ লালসা এবং আত্মপ্রতিষ্ঠাকে পদদলিত করে কৃষকজনতার মুক্তির লক্ষ্যে সংগ্রাম করে গেছেন। এদেশের কৃষক আন্দোলনের ইতিহাসে আঁর নেতৃত্বে পরিচালিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ডহুুরী কৃষক অভ্যূত্থান, সুফলাকাটি খাল খনন, বিল খুকশী, বিল ডাকাতিয়া আন্দোলন, হাওরাঞ্চলে ভাসান পানি আন্দোলন ইত্যাদি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কৃষক আন্দোলনের পাশাপাশি তিনি শিক্ষকদের আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদানের কারণে জেল জুলুমও সহ্য করেছেন। বক্তারা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁর মতো সাহসী আপসহীন সংগ্রামী নেতৃত্বে প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, সরকার মাদকবিরোধী অভিযানের নামে নির্বিচারে বিনা বিচারে একের পর এক মানুষ হত্যা করে চলেছে। মাদক ব্যবসা যেমন অপরাধ তেমনি বিনা বিচারে মানুষ হত্যা তার চেয়ে বড় অপরাধ। গত এক সপ্তাহে প্রায় ৬০ জন মানুষকে বিনা বিচারে হত্যার বিষয় উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অপরাধী যেই হোক তাকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।
সভা থেকে ধানসহ কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত, সরকারী ক্রয় কেন্দ্রের অধীনে জেলার প্রতিষ্ঠিত হাট বাজারগুলোতে অস্থায়ী ক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ক্রয়ে যথাযথ ব্যবস্থা, অকাল বন্যার কবল থেকে ফসল রক্ষার স্থায়ী সমধানের জন্য দেশের সকল নদ-নদী, খাল-বিল জাতীয় স্বার্থে খনন, সকল কৃষি ঋণ, এনজিও ঋণ মওকুফ করে বিনা সুদে কৃষকদের ঋণ প্রদান, ভূমিহীন-গরিব কৃষকদের জন্য পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালু এবং দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার দাবি জানানো হয়।