সাইফুল ইসলাম:
মেয়াদ উর্ত্তীণের নয়মাস পর বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার শিব নাথ রায় (২৮মে-সোমবার) তফসিল ঘোষণা করেন।
মনোনয়ন পত্র বিতরণ করা হবে ২৯ মে, মনোনয়ন পত্র গ্রহণ ৩১ মে, যাচাই-বাছাই ২ জুন, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার ৬ জুন, প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ১০ জুন। আগামী ২৪ জুন এ নির্বাচনের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী তিন স্তরের এই নির্বাচনের প্রথম স্তরে প্রাথমিক কার্যকরী পরিষদ, দ্বিতীয় স্তরে ভ্যালি কার্যকরী পরিষদ নির্বাচন এবং তৃতীয় স্তরে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনে দেশের সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চট্রগ্রাম ও রাঙ্গামাটি জেলার ২২৮টি চা বাগান ও ফাঁড়ি বাগানের মোট ৯৮ হাজার ৭৫২ জন চা শ্রমিক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
নিবাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চট্রগ্রাম ও রাঙ্গামাটি জেলার জেলা প্রশাসকরা নির্বাচনের সমন্বয়ক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা রিটার্নিং অফিসার ও সংশ্লিষ্ট ২০টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং পার্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
প্রসঙ্গত: ১০ আগষ্ট ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার ২৩০ টি চা বাগানের ৯৫ হাজারের অধিক নিবন্ধিত চা শ্রমিকরা গণতান্তিক উপায়ে ভোট প্রদান করে মাখন লাল কর্মকার ও রামভজন কৈরীর প্যানেলকে নির্বাচিত করে।
মেয়াদ উর্ত্তীণ কমিটি ২০১৭ সালের ১০ আগষ্ট আবার নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তর এ নির্বাচনের কোন উদ্যোগ গ্রহন না করায় প্রায় ৯ মাস অতিবাহিত হয়ে যায়।
এঅবস্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে শ্রম-মন্ত্রীসহ শ্রম অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগে নিয়মিত তাগাদা দিয়ে আসছিলেন।
অবশেষে গত ২০মার্চ শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব শিবনাথ রায়ের স্বাক্ষরিক একটি প্রজ্ঞাপনে গত ২৭মে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারন করা হয়।
এপ্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গত ১৮এপ্রিল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনী প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বিজয় প্রসাদ বুনার্জির নেতৃত্বে ও মাখন লাল কর্মকারের নেতৃত্বে দুটি প্যানেলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন চা বাগান ঘুরে গণ সংযোগ করেও প্রচারণাও শুরু করেছেন।
এদিকে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে শ্রীমঙ্গল কালিঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রাণেশ গোয়ালার নেতৃত্বে নতুন একটি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তিনি মুঠোফোনে এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমার জনপ্রিয়তা দেখে অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে বিরোধীতা করে আসছে।’