২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিদ্যুৎ চালিত মোটরগাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ককর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে পরিবেশবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করা উচিত।
দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থার সংকট উত্তরণে কমপক্ষে ১০ বছরের পুরনো জাপানি বাস ( যা জন্মগত ভাবে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রক-ক্যাটালাইটিক কনভার্ট টার সংযুক্ত) আমদানিতে শুল্ককর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার যৌক্তিক সুপারিশ রাখছি। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে তৈরি এসব বাস রাজস্বনীতিসহায়ক না হওয়ায় আমদানি করা যাচ্ছে না অথচ প্রস্ততকারী দেশ হিসেবে খোদ জাপানের মহসড়কে ২৫/৩০ বছরের এসব গণপরিবহন নিয়ত ভূমিকা রাখছে। সবুজ বাংলাদেশ গড়তে এ গাড়ি অবদান রাখবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; আমরা সমুদ্র ও মহাকাশ জয় করেছি, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু পুরোদমে এগিয়ে চলছে অথচ গণপরিবহনসহ অন্যান্য যানবাহনের আমদানি ও বিপণনব্যবস্থা সেভাবে গড়ে ওঠেনি। যদিও মহাসড়ক পাড়ি দিতে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষসম্পন্ন যানবাহনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড প্রযুক্তির গাড়ির আমদানি ও বিপণন অধিকতর সহজলভ্য হলে সিএনজিনির্ভর যানবাহন অনেকটাই হাইব্রিড প্রযুক্তির গাড়ির ওপর নির্ভরশীল হবে। এটাই এখন সময়ের দাবি। উদারমুখী শুল্কনীতিমালা গ্রহণ করা হলে আগামী অর্থবছরে এ খাত থেকে রাজস্ব আদায় হবে আনুমানিক সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। সরকার আধুনিক রাষ্ট্র নির্মাণে জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশসম্মত হাইব্রিড প্রযুক্তির গাড়ি আমদানি উৎসাহিত করেছে। এখন প্রয়োজন হাইব্রিড প্রযুক্তির গাড়ি আমদানিতে সিসি স্লাবের পরিবর্তন। এটা করা হলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের এটি অনুধাবন করতে হবে ফুয়েল ইঞ্জিনযুক্ত ২০০০ অশ্বশক্তি অন্যদিকে ঠিক একই আকারের হাইব্রিড প্রযুক্তির অশ্বশক্তি ২৫০০। হাইব্রিড প্রযুক্তির উৎকর্ষ এ পার্থক্যের অন্যতম কারণ।অথচ অশ্বশক্তি পার্থক্য হওয়ার কারণে বিদ্যমান শুল্কহার ভিন্নতর। যদিও ২৫০০ সিসির জ্বালানিসাশ্রয়ী গাড়ি ২০০০ সিসির ফসিল ফুয়েলের চেয়ে বহুগুণ কম জ্বালানি পোড়ায়। একই অবস্থা হাইব্রিড প্রযুক্তির গাড়ির অন্যান্য গাড়ীর ক্ষেত্রেও বিদ্যমান। সার্বিক বিবেচনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে আধুনিক, রাজস্ববান্ধব ও সবার কাছে বোধগম্য৮৭.০২ ও ৮৭.০৪ কে সমন্বয় করে নতুন একটি এসআরও প্রণয়নের এখন সময়ের দাবি কেননা বর্তমান এসআরওটি অসংগতিপূর্ণ এবং সাংঘর্ষিক।
অতএব, উন্নত দেশের আদলে সবুজ নগরী তথা সোনার বাংলা বির্নিমাণে প্রস্তাব করছিঃ
(১) সুশৃঙ্খলিত গণপরিবহণ ব্যবস্হা গড়ে তোলার জন্য কমপক্ষে ১০ বছর পূরাতন বাস/কোষ্টার আমদানীর সুযোগ যাতে গণপরিবহণ নৈরাজ্য আপনা হতেই বন্ধ হয়।
(২) ৮৭.০২ এবং ৮৭.০৪ এইচ.এস. কোড সমন্বয় করা যাতে মানসম্পন্ন গাড়ী আমদানীর পথ ও কাঙ্খিত রাজস্ব আদায় সুনিশ্চিত হয়।
(এম. এ. এইচ. আলতাফ, সংঘবিধি প্রণেতা ও সাবেক নির্বাহী সদস্য, বারভিডা, প্রেসিডেন্ট, আরডিও, আজীবন সদস্য, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ও জালালাবাদ ডিজায়েব্যাল রিহ্যাব সেন্টার এন্ড হাসপাতাল )