সাইফুল ইসলাম
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের জমিতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা কৃষি বন্দোবস্ত নিয়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছেন।
এই সেকশনের শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ ও শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রেলওয়ের কোটি কোটি টাকার কৃষিজমি ও ভূ-সম্পত্তি পর্যায়ক্রমে বেহাত হচ্ছে।
ওয়ান-ইলেভেনের পর যৌথ বাহিনী রেলওয়ের কিছু জমি উদ্ধার করলেও ধীরে ধীরে সেগুলো বেদখল হয়ে যায়।
স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল এসব জমি দখলে নিয়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করলেও সম্পত্তি রক্ষায় কর্তৃপক্ষের কোনও নজর নেই।
এই জোনের টিলাগাঁও, লংলা, ভাটেরা, কুলাউড়া, শমশেরনগর, ভানুগাছ, শ্রীমঙ্গল, সাতগাঁও, রশিদপুর, লস্করপুর, শায়েস্তাগঞ্জ ও নোয়াপাড়াসহ বিভিন্ন স্টেশনের পাশের জমি অবৈধ দখলে নিয়ে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
অভিযোগ রয়েছে, রেলওয়ের জমির সঙ্গে পরিত্যক্ত জমি নিজেদের দখলে নিয়ে চড়া দামে কেনাবেচা চলছে। এছাড়া এসব জমিতে ঘর তুলেও ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। এসব বাড়িতে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে।
তাছাড়া সংঘবদ্ধ চোর চক্রও রেলপথের স্লিপারের সঙ্গে যুক্ত ক্লিপ, নাটবল্টু প্রতিনিয়ত চুরি করে নিচ্ছে।
বিভিন্ন স্টেশনের পরিত্যক্ত রেললাইন থেকে চুরি হচ্ছে মূল্যবান লোহার সরঞ্জামাদি, রেল লাইনের যন্ত্রাংশ ও মালামাল। টেলিফোন ও সিগন্যাল লাইটের কাজে ব্যবহৃত তার, খুঁটি কেটে নিচ্ছে।
এই সেকশনের কয়েকজন রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জানান, কৃষি বন্দোবস্ত নিয়ে এভাবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বাসাবাড়ি ও দোকান গড়ে উঠছে। তবে প্রভাবশালী এ মহলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে গেলে বদলি, চাকরি হারানোর ভয়ও রয়েছে।
এব্যাপারে রেলওয়ের সহকারী ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা নাম না করার শর্তে বলেন, ভূ-সম্পত্তি বিভাগ থেকে লিজ নিয়ে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হলে মামলা দেওয়া হচ্ছে এবং উচ্ছেদ অভিযানও পরিচালনা করা হচ্ছে। ওই সেকশনে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় কৃষিজমিতে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
প্রকাশিত ২মে ২০১৮,সময় ৮.৩৬