রাঙামাটিতে সন্ত্রাসী হামলায় ইউপিডিএফের পাঁচ সদস্য নিহত, গুলিবিদ্ধ ৯

রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে সন্ত্রাসী হামলায় হতাহত ইউপিডিএফ নেতাকর্মীরা
রাঙামাটিতে ফের রাজনৈতিককর্মী হত্যার ঘটনা ঘটেছে। জেলার নানিয়ারচরের বেতছড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় পাহাড়ি সংগঠন ইউনাইটেড পিপপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ- গণতান্ত্রিক) পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও ৯ জন। নিহত নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্যে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসে সন্ত্রাসী হামলা হলে গুলিবিদ্ধ হয়ে শুক্রবার (৪ মে) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।

রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম পাঁচ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।আহতদের খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

নিহতরা হলো তপনজ্যোতি চাকমা বর্মা, টনক চাকমা, সুজন চাকমা, সজীব ও সেতুলাল চাকমা। তপনজ্যোতি চাকমা বর্মা ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিকের এর আহ্বায়ক বলে জানিয়েছেন ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের নেতা লিটন চাকমা।

ইউপিডিএফের সূত্রে জানা গেছে, সজীব মাইক্রোবাসের বাঙালি ড্রাইভার।

সমমনা সংগঠন জেএসএস সংস্কারপন্থী গ্রুপের প্রচার সম্পাদক বিভু রঞ্জন চাকমা বাংলা ট্রিবিউনকে সন্ত্রাসী হামলার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাত্র এক দিন আগে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমাকে প্রকাশ্যে দিনের আলোতে গুলি করে হত্যা করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শক্তিমান চাকমা তার সরকারি বাসভবন থেকে স্থানীয় বাজারে যান। বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে উপজেলা পরিষদের সামনে আসেন। মোটরসাইকেল থেকে নামতেই গুলি করা হয় তাকে।

ঘটনাস্থলেই মারা যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শক্তিমান চাকমার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তার সহকারী রুপম চাকমা (৩৫) আহত হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফ এর শীর্ষ নেতাদের দায়ী করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা)।

শেয়ার করুন