রাজশাহী থেকে সুমি বেগম:
মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৫ বছরের এক নারী। এ ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর মুসরইল এলাকায়।
গত মঙ্গলবার রাতে এলাকার লিচু বাগানে চার যুবক তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ওই নারীর। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি রয়েছেন।
তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ন কবির।
ওই নারীর অভিযোগের বরাত দিয়ে তিনি জানান, মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে খুলনা থেকে ওই নারী এসেছিলেন রাজশাহী। মুসরইল এলাকার রং মিস্ত্রি গাজু মিয়ার ছেলে আকাশের সঙ্গে ওই নারীর মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। সে সূত্র ধরে গত ১ মে ওই নারী রাজশাহীতে আসেন।
দুপুরে আকাশের দুই বন্ধুর সঙ্গে ওই নারী গাজু মিয়ার বাড়িতে যান এবং আকাশের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কে কথা জানিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু বয়সের পার্থক্য দেখিয়ে আকাশের বাবা-মা এতে রাজি না হয়ে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেন।
পরে আকাশের দুই বন্ধু ওই নারীকে নিয়ে চলে যান এবং রাতে স্থানীয় একটি লিচু বাগানে রেখে রাতভর ধর্ষণ করেন। গত ২ মে বুধবার সকালে ওই নারীকে চার যুবক ধর্ষণ করেছে বলে থানায় জানায়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসির হেফাজতে দেয়া হয়।
ওসি হুমায়ন বলেন, ওই নারীর বাবা-মা ঢাকায় থাকেন। তাদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসলে মামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান তিনি।
আকাশের বাবা গাজু মিয়া বলেন, ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে তার ছেলে জড়িত ছিল না। ওই মেয়ের বয়স প্রায় ৩৫ বছর। আর আকাশের বয়স ১৫ বছর। সে নবম শ্রেণীর ছাত্র। আকাশের দুই বন্ধু ওই মেয়েকে রাজশাহী রেল স্টেশন থেকে নিয়ে যায়। সে তার বাড়িতে গিয়ে আকাশের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
তিনি দাবি করেন, তার ছেলে জানায় ওই মেয়ের সঙ্গে তাদের তিন বন্ধুর মোবাইল ফোনে কথা হয়। কিন্ত তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়নি। এছাড়াও ওই মেয়ের চেয়ে তার ছেলের বয়স অর্ধেকের কম। তাই তাদের দুপুরে খাওয়ানোর পর বাড়ি থেকে চলে যেতে বলা হয়।
গাজু মিয়া বলেন, পরে আকাশের দুই বন্ধু ওই মেয়েকে নিয়ে চলে যায়। এর পর কী হয়েছে সে ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। তবে পরদিন চন্দ্রিমা থানার ওসি তাকে জানিয়েছে ওই মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে।