কুলাউড়া প্রতিনিধি॥ কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের বালিসিন্দ্রী গ্রামের এক প্রবাসী পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রবাসী ওই পরিবারের সাথে কোন আলাপ না করেই জোরপূর্বকভাবে খুুঁটি স্থাপন করে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগী ওই পরিবার খুুঁটি সরানোর জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেই কোন সুরাহা পাচ্ছে না।
জানা যায়, সৌদিআরব প্রবাসী মোঃ আতাউর রহমানের নিজস্ব জমিতে পাশ্ববর্তী বাড়ির ইনুছ মিয়া, উস্তার আলী, এলাইছ আলী (সর্বপিতামৃত হাজী দরছ মিয়া) তাদের ব্যক্তি সুবিধার জন্য তাঁদের নিজ জমিতে খুঁটি স্থাপন না করে হিংস্বাত্বক ভাবে প্রবাসীর নিজস্ব জমিতে পল্লীবিদুৎ এর খুঁটি ও ড্রপলাইন টানেন। এতে প্রবাসী পরিবারের ওই জমিতে বসতগৃহ নির্মাণ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে এবং ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধিত হয়।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল টিলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালিকের সুপারিশসহ মৌলভীবাজার জেলা পল্লীবিদ্যু সমিতির কার্যালয় শ্রীমঙ্গলের জেনারেল ম্যানেজার বরাবরে বৈদ্যুতিক খুটি স্থানান্তরের প্রতিবাদে ১৫ এপ্রিল একটি অভিযোগ করেন প্রবাসী আতাউর রহমানের বোন মোছাৎ আকলাছুন নেছা। অনুলিপি দেয়া হয় কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের নিকট।
অভিযোগ করার পর ইনুছ গং রা প্রবাসীর স্ত্রী, মেয়ে ও একমাত্র বোনকে বাড়িতে একা পেয়ে অকারণে হুমকি, অশ্লীল গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে। এবং বলে যে জমিতে কোন অবস্থাতেই বসতগৃহ নির্মাণ করতে দিবেনা। তারা প্রকাশ্য হুংকার দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে যতটাকা লাগে তত টাকা দিবে তবুও খুঁটি সরাতে দিবো না। তাদের পরিবারে কোন পুরুষ লোক বাড়িতে নেই। একমাত্র অভিভাবক মোঃ আতাউর রহমান সৌদিআরবে শ্রমিক হিসেবে আছেন। এ নিয়ে প্রবাসীর পরিবার প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় ইনুছ গং রা। বিষয়টি কুলাউড়া থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে অবহিত করেন প্রবাসীর পরিবার।
পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার গোলাম ফারুক মীর জানান, অভিযোগের বিষয়ে আমার এখনো জানা নেই। তবে খুঁটি সড়ানোর লিখিত আবেদনটি পাওয়ার পর তদন্ত্রক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পল্লী বিদ্যুতে রিট্রেইনার ইঞ্জিনিয়ার আশিকুর রহমান বলেন, কারও যদি আপত্তি থাকে তাহলে আলোচনার মাধ্যমে খুঁটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে।