বিপদসীমার উপরে মনু ও ধলাই  ২৬ হেক্টর ফসলি জমি প্লাবিত ॥ কমলগঞ্জে

স্টাফ রিপোর্টার॥ টানা ভারী বর্ষণে ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের মনু ও ধলাই নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ার কারণে কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২৬ হেক্টর ফসল ডুবে গেছে। ধলই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রামেন্দ্র চক্রবর্তী জানান,মনু নদীর পানি কুলাউড়া মনু রেলব্রিজ ও চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুলাউড়ার মনুব্রীজ এলাকায় বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার এবং চাঁদিনীঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

অন্যদিকে ধলাই নদীর পানি কমলগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে তিনি জানান, মনু ও ধলাই নদীতে পানি বিপদসীমার উপরে আছে তবে বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার পর বিকেল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।

এদিকে দুইদিনের বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ৯ মে বুধবার সকাল থেকে কমলগঞ্জ ধলাই সেতু এলাকায় বিপদ সীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ অবস্থায় ধলাই নদের প্রতিরক্ষা বাঁধের ঝুকিপূর্ণ ১৫টি স্থান নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন একাবাসী।

 মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কমলগঞ্জে নিয়োজিত সার্ভেয়ার আব্দুল আউয়াল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানিয়েছিলেন,দু’দিন ধরে টানা বৃষ্টি হওয়ায় এবং উজানের পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদে পানি বেড়েছে। ধলাই নদে পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলে বুধবার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের ঠাকুরের বাজার গ্রাম এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে এ ভাঙ্গন রোধ করেন। তবে সকালে রহিমপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের কৃপেশ ধরের বাড়ির দক্ষিণে ধলাই নদের প্রতিরক্ষা বাঁধের ৩৫ ফুট ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়। এ ভাঙ্গন দিয়ে ঢলের পানি প্রবেশ করে লক্ষীপুর গ্রামে প্লাবন সৃষ্টি হয়।

এ দিকে হঠাৎ পানি বাড়ার কারনে জেলার কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২৬ হেক্টর ফসল প্লাবিত হয়েছে। দ্রুত পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে জেলার প্রতিটি হাওরে তবে জেলার সবচেয়ে বড় বোরো ফসলের ভান্ডার হাকালুকিতে শতভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা কৃষি অধিদপ্তর।

মৌলভীবাজার জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: শাহাজান জানান, ২৬ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি থেমে গেলে দ্রুত পানি নেমে যাবে এতে পানিতে তলিয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নাই।

শেয়ার করুন