এক মণ ধানের দামেও মিলছে না শ্রমিক

স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার, কাউয়ারদিঘি, হাইল হাওর, কাইনজার হাওরের মাঠে মাঠে এখন পাঁকা ধান। শ্রমিক সংকটে সময় মতো ধান কাটতে পারছে না অনেক কৃষক। এক মণ ধানের দাম মজুরি দিয়েও মিলছে না একজন শ্রমিক। শ্রমিক মিললেও জনপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। সাথে থাকছে আবার দুবেলা খাবার। এতে গৃহস্থের শুধু ধান কাটাতেই খরচ পড়ছে মণ প্রতি ৭০০ টাকা। অন্যান্য খরচ জমি চাষ, সেচ, চারা, সার, কীটনাশক, রোপা শ্রমিক তো আছেই। চলতি বোরো মৌসুমে ঝড়, বৃষ্টি, পোকা-মাকড়, রোগ-বালাই নিয়ে কৃষকরা মহা বিপাকে ছিল।

জানা গেছে,এর মধ্যে আবার বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬২০ থেকে ৬৫০ টাকায়। তাই লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষককে। জেলা কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী, মৌলভীবাজার জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ৫৪ হাজার ১২ হেক্টর জমিতে বোরো ফসলের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার হেক্টর বেশী। বোরোর এই বাম্পার ফলনে কৃষকরা আনন্দিত হয়েছিলেন কিন্তু এক মণ ধানের দামেও মিলছে না শ্রমিক যার ফলে হাতাশে ভোগছেন কৃষকরা।

সদর উপজেলার কৃষক আবুল মিয়া বলেন, হেক্টর প্রতি কৃষকরা সাত থেকে আট মেট্রিক টন ধান পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।  কমবেশি সব এলাকায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। তাই শ্রমিকদের চাহিদা বেশি। এ বছর শ্রমিকের মূল্য বেশি থাকায় স্কুল-কলেজের অনেক শিক্ষার্থীরা ধান কাটার কাজে লেগে পড়েছে। তিনি এবার ১০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। বাজারে ধানের চাহিদা ও বাজার মূল্য অনেক কম থাকায় তাকে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ শাহাজান জানান, এবার বোরো ধানের দাম কম থাকায় কৃষকদের ধান ভালভাবে শুকিয়ে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিয়েছি। যাতে সংরক্ষিত ধান কৃষকরা পরে বিক্রি করে ভাল দাম পায়।

শেয়ার করুন