স্টাফ রিপোর্টার॥ কৃষিতে নারীদের সম্পৃক্ততা এখন চোখে পড়ার মত। সংসারের কাজের পাশাপাশি নারীরা কৃষিতেও পিছিয়ে নয়। এমনকি বাড়তি আয় উপার্জনের জন্য নারীরা এগিয়ে আসছে। যার ফলে তারা যেমন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে তেমনি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ হচ্ছে একটি কৃষি প্রধান দেশ। দেশের ১৬ কোটি মানুষের অর্ধেক নারী। এর ৮০ শতাংশ মানুষ বাস করে গ্রামে। দেশের অর্থনীতির সিংহভাগ আসে গ্রাম থেকে। গ্রামের কৃষি অবদান রাখছে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে।
এখন নারীরা ধান ক্ষেতেও কাজ করে যাচ্ছে। ধান চাষাবাদ সহ কৃষিতে নারীদের বিচরণ চোখে পড়ার মত। এমনি একটি দৃশ্য দেখা যায় মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের হরিষর গ্রামে। সেখানে ধানের চারা রুপনরত কয়েকজন মহিলাকে দেখতে পাওয়া যায়। তারা অবিরামভাবে কৃষিক্ষেতে কাজ করে যাচ্ছেন।
তাদেরই একজন ধানের চারা রূপনরত কুটি নামের এক মহিলা শ্রমিক বলেন, আমরা সংসারের কাজ শেষ করে বাড়তি আয়ের জন্য কাজ করছি। হাড়-ভাঙ্গা পরশ্রিম করি কিন্তু দিন শেষে আমরা অনেক সময় মজুরী বৈষম্যের শিকার হই । যেখানে অর্ধবেলা কাজ করে পুরুষরা ২৫০-৩০০ টাকা মজুরী পায় সেখানে আমরা পাই ২শত টাকা। সারা দিন কাজ করে নারীরা যেখানে মুজুরি পায় ৩৫০-৪০০ সেখনে পুরুষরা পাচ্ছে ৫০০-৫৫০ টাকা পর্যন্ত।
সচেতন নাগরিকরা বলেন, গ্রামীণ বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে নারীদের এই অবদান অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করলেও এর কোন স্বীকৃতি নেই। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে নারীরা আরোও ব্যাপকভাবে বিভিন্ন ধরণের কাজে অংশগ্রহণ করত।
এমনকি পারিবারিক অসহযোগীতা,নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাব এবং সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা না থাকার কারণে নারীদের এই অর্থনৈতিক সংগ্রাম যেখানে শুরু হয়েছে সেখানে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে নারী নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য হোসনে আরা ওয়াহিদ বলেন, নারীরা এখন সব জায়গাতেই এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার নারীদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনার জন্য বিভিন্ন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নারীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার, যাতে নারীরা সমাজের বোঝা না হয়ে স্বাবলম্বী হবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এমনকি বর্তমানে নারীরা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজেও অংশ গ্রহণ করছে।