কমলগঞ্জে জুতা কিনতে গিয়ে ক্রেতার সাথে বাকবিতন্ডা ॥ দোকান বন্ধ করে নির্যাতন ॥ থানায় অভিযোগ

প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ॥ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে তারাবীর নামাজ শেষে জুতা কিনতে গিয়ে দোকানী কর্তৃক ক্রেতার সাথে বাকবিতন্ডা, দোকান বন্ধ করে শারীরিক নির্যাতন ও পুলিশ কর্তৃক উদ্ধারের পর কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৩ জুন রোববার রাতে তারাবীর নামাজ শেষে রাত সাড়ে ৯টায় কমলগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের আলেপুর গ্রামের মৃত গণি মিয়ার পুত্র মো: আবুল হোসেন (২০) উত্তর আলেপুর ফুরকানীয়া জামে মসজিদের ঈমাম মাও: মাহবুবুর রহমান (২৯)-কে সাথে নিয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনা এলাকার আঁখি এন্ড শামীম টেইলার্সের দোকানে জুতা কিনতে যান। জুতা দেখার পর তারা দোকানদারকে আরো ভাল মানের জুতা দেখানোর জন্য বললে দোকানী শামীম মিয়া (২০) মাও: মাহবুবুর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে বাঁধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানী শামীম মিয়া ও তার পিতা শহিদ মিয়া, মাতা রোওশন বেগম দোকানে আবুল হোসেনকে আটকিয়ে রেখে তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এ সময় হামলাকারীরা আবুল হোসেনের কাছে রক্ষিত একটি স্যামস্যাং মোবাইল ফোন ও নগদ ১০ হাজার ৫০ টাকা লুটে নেয়। প্রায় এক ঘন্টা পর খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সুরুজ আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে আবুল হোসেনকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে আহত অবস্থায় কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে আনা হয়।

এ ব্যাপারে সোমবার দুপুরে আবুল হোসেন বাদী হয়ে মো: শহিদ মিয়া, রোওশন বেগম ও শামীম মিয়াকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে মামলার আসামীদের বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সুরুজ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,  অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন