মনজু চৌঃ তিন মাস পর হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন এবং হত্যাকারি স্ত্রীর ভাই শ্যালক সুজনকে আটক করেছে পিবিআই মৌলভীবাজার। পিবিআই জানায়,স্বামীর মায়ের সাথে বসবাসে অনিহা,স্বামীর উপার্জিত টাকা লুন্টন করা এবং পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারনে শ্যালক, স্ত্রী ও শাশুড়ি মিলে পরিকল্পীতভাবে শ্রীমঙ্গলের শুরভী পাড়ার ফারুকুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে।
৫ জুন দুপুরে এক প্রেসব্রিফ্রিং সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন পিবিআই মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
প্রেসব্রিফিং থেকে জানা যায়, ফারুকুল ইসলামের স্ত্রী শিরিন আক্তার বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি জয়না বেগমকে নিয়ে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। কিন্তু ছেলের বউ বিয়ের পর থেকেই তার শাশুড়ির সাথে বসবাসে আপত্তি জানায়। এ নিয়ে তাদের পারিবারিক কলহের সুত্রপাত। এ নিয়ে অনেকবার সালিস বৈঠকও হয়েছে। তারপরও কোন সুরাহা হয়নি। একপর্যায়ে ফারুকুল ইসলাম শায়েস্তাগঞ্জ ছেড়ে শ্রীমঙ্গলের শুড়ভী পাড়ার বসবাস করতে থাকেন। এদিকে ক্ষিপ্ত শিরিন আক্তার তার ভাই সুজন ও মা মালেকা বেগম ফারুকুল ইসলামকে হত্যা ও তার টাকা পয়শা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন সকাল ১০টায় দিকে (২৪ জুলাই ২০১৭ সাল) শ্রীমঙ্গলের শুড়ভী পাড়ায় শ্যালক সুজন ও ফারুকুলের শাশুড়ি মালেকা বেগম ও স্ত্রী শিরিন আক্তার বিষয়টি নিয়ে আবারও কথা ওঠায় এবং এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পরিকল্পনা অনুযায়ি ফারুকুল ইসলামকে তারা পিঠিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ নিয়ে ২৫ জুলাই ২০১৭ সালে ফারুকুলের মা জয়না বেগম ছেলের বউ শিরিন আক্তারসহ অজ্ঞাত নামা আরো কয়েকজন এর বিরোদ্ধে শ্রমিঙ্গল থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে ১লা মার্চ ২০১৮ সালে এ মামলাটি পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পিবিআই দীর্ঘ তদন্তের পর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে এবং হত্যার সাথে জড়িত শ্যালক সুজনকে ৩০ মে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে আটক করে। এদিকে শাশুড়ি মালেকা বেগম পলাতক ও স্ত্রী শিরিন আক্তার জাবিনে মুক্ত রয়েছে।
তিন মাস পর রহস্য উদঘাটন: সন্তানের সাথে মায়ের বসবাসে থাকার অপরাধ স্বামীকে খুন করেন নিজ স্ত্রীর, শাশুড়ি, শ্যালক, মিলে ?
শেয়ার করুন