আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ ছিলেন সর্বকালের সেরা সিলেটপ্রেমী, বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশের সফল অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান। স্টাডি ব্রেক হওয়ার কারণে 93 সালে উচ্চতর প্রথম বিভাগে এসএসসি পাস করি। ভর্তি হই মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে। তখন বিএনপি সরকারে। আর প্রয়াত এম সাইফুর রহমান অর্থমন্ত্রী। আমরা ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে প্রায়ই উনার প্রোগ্রামে যেতাম। কলেজের প্রোগ্রামেও উনি প্রায়ই আসতেন।আমরা বন্ধুরা মিলে বের করি সাহিত্যের কাগজ ” শিশির “। আমি ছিলাম কাগজটির সম্পাদক ও প্রকাশক। নতুন এই মাসিক কাগজটির মোড়ক উন্মোচন করেছিলেন মহান এই নেতা। নতুন কাগজ হাতে পেয়ে এ বিষয়ে কিছু না বলে আমাকে বলেন, আগে পড়তে হবে।
বিশ্ব বরেণ্য এই অর্থনীতিবিদ ছিলেন. খুবই স্পস্টবাদী।উনিশ শত চুরানব্বই সালে আওয়ামীলীগসহ সসদের বিরোধীদলগুলো নির্বাচনকালীন তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে তুমুল আন্দোলন করছে। এসময় সম্ভবত ডিসেম্বর মাসে এক সকালে উনি পুরাতন জজকোর্টে আধুনিকায়নের উদ্বোধন করতে আসেন। উদ্বোধনী বক্তব্যের একপর্যায়ে হঠাৎ বলে উঠলেন ” এখানে আইনজীবী সমিতির কেউ আছেননি। উনারা বলেছিলেন.আইনজীবীদের বসার জন্য একটি ভবন দিতে। জানি না সরকারে কয়দিন আছি। পরে বলবেন সাইফুর রহমান সাহেব বলেও একটি ভবন দেননি!”
96 সালের 12 জুনের নির্বাচনে নিজের মৌলভীবাজার -3 আসন ছাড়াও সিলেট সদর আর গোয়াইনঘাট এলাকায় নির্বাচন করেন। তখন আমি এমসি কলেজের ছাত্র আর সংবাদকর্মী! তিনি 2 টিতে বিজয়ী হয়েছিলেন । আর সিলেট 1 স্থগিত দেখানো হয়। পরে হাতে গোনা ভোটের ব্যবদানে। 2001 সালে নির্বাচন চলাকালে আমি দৈনিক শ্যামল সিলেটের নিউজ ডেস্ক ইনচার্জ। বিভিন্ন স্থানে উনার অনেক নির্বাচনী মিটিং কভার করেছি। হাটখোলা, জালালাবাদ, বাদাঘাট সহ কোম্পানীগঞ্জ থানার অনেক স্থানে আমরা নৌকায় যাই। উনি এসব দেখে আক্ষেপ করতেন। এখন এসব স্থানে ব্রিজ আর রাস্তা। বলা যায় গোটা সিলেটের চিত্র পাল্টে দিয়েছেন একজন সাইফুর রহমান। এমন আরো অনেক স্মৃতি আছে। ফলে সিলেটের হাটে ঘাটে মানুষ এখন উনার শুন্যতা অনুভব করছে!
আব্দুল বাছিত বাচ্চু
প্রাক্তন বার্তা সম্পাদক, শ্যামল সিলেট
চেয়ারম্যান, হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ, কুলাউড়া