বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখায় পূর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত অটোরিকশা চালক সাহেদ আহমদের (৩০) অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুও সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
৩ জুন বিকেলে সালদিগা এলাকায় মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে আহত করে। এই ঘটনায় সাহেদ আহমদের ভাই শাহিন আহমদ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, সাহেদ আহমদ প্রতিদিনের মতো গত রোববার বিকেলে উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের আজিমগঞ্জবাজারের অটোরিকশা স্ট্যান্ডে ছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মুঠোফোনে অপরিচিত এক ব্যক্তি ভোলারকান্দি থেকে বড়লেখা হাসপাতালে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এতে রাজি হয়ে ভোলারকান্দির উদ্দেশে অটোরিকশা নিয়ে রওয়ানা দেন সাহেদ। সালদিগা এলাকায় পৌঁছামাত্র আগে থেকে সেখানে ওতপেতে থাকা একই রফিনগর এলাকার সামছুল ইসলাম (২০), এমরান আহমদ (২২), শাহান আহমদ (২৪) অটোরিকশাটির গতিরোধ করেন। তারা তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম এবং সঙ্গে থাকা নগদ টাকাসহ একটি মুঠোফোন নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাহেদ আহমদের বড়ভাই শাহিন আহমদ বৃহস্পতিবার ৭ জুন জানান, রফিনগর গ্রামের আমিনুল ইসলাম ওরফে সাইদ নামে এক আগর-আতর ব্যবসায়ীর কাছে তার ভাইসহ তিন বন্ধু প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা পাবে। এই টাকার তাগদা দেয়ায় সে তার ভাইকে সন্ত্রাসী দিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছে। সন্ত্রাসীরা আমার ভাইকে মাথায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে জখম করেছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমিতভা দাস তালকুদার বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, ‘হামলায় আহত সাহেদের বড়ভাই শাহিন আহমদ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’