জার্নি বাই ট্রেন। ক্লাস সিক্স সেভেনে আমাদের প্রিয় একটা ইংলিশ প্রবন্ধ ছিলো। কিন্তু এ বিষয়ে প্রবন্ধে যা লিখেছি বাস্তবে তার ১০ ভাগও নেই।বলা যায় রেলভ্রমনে সিলেট বিভাগের যাত্রীরা সীমাহীন ভোগান্তির শিকার। দূরপাল্লার যাত্রায় একসময় রেল নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমনের বাহন হলেও বর্তমানে সিলেটের যাত্রীদের জন্য রেলে ভ্রমন অনেকটা বিভিষিকাময় হয়ে উঠছে। কিন্তু রেল বিভাগ ঢাকা- চট্টগ্রাম লাইনে নানা আধুনিকায়ন আর নতুন নতুন ট্রেন সংজোযন করলেও সিলেট রুটের ব্যাপারে অনেকটা উদাসীন মনে হচ্ছে।এতে সিলেটবাসী ফুঁসে উঠছে।
আমি নিজে গত ফেব্রুয়ারি মাসে পাহাড়িকা ট্রেনে চট্টগ্রাম যাই।এসি কারের টিকেট নিলেও ট্রেনে উঠে দেখি গাড়ির এসি নষ্ট। পুরো ট্রেনে হকাররা অবাদে যাতায়াত করছে।টিকেট না করেও অনেক যাত্রী উঠে সিলেটের যাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে নানাভাবে ডিস্টার্ব করছে।আর যাত্রাপথে ট্রেনের অনেক অনির্ধারিত যাত্রা বিরতিও দেখলাম। সবচেয়ে আশ্চর্য হলাম আমি শ্রীমঙ্গল থেকে দিনে একটায় ট্রেনে উঠলেও ফেনী যাওয়ার পর ঢাকা থেকে তিনটায় ছেড়ে আসা সূবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন আমাদের পিছনে রেখে চট্টগ্রাম চলে গেলো।
আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয় জাতীয় সংসদে সম্ভবত উনার শেষ বাজেট উপস্থাপন করেছেন। এরমানে উনার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন।
আমি আশা রাখবো উনি রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার আগে সিলেটবাসীর জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটে দুটি নতুন বিরতিহীন ট্রেন সংযোজিত করবেন। নিরাপদ করবেন সিলেটবাসীর ট্রেনযাত্রা।
আল্লাহ উনাকে নেক হআয়াত দান করুক। আমিন