৪ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে দিঘী দখলের অভিযোগ

শহর প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বৃন্দাবনপুর গ্রামে ৪ দশমিক ৪৪ একরের সরকার ও মালিকানাধীন যৌথ দীঘি দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ৪ ইউপি সদস্য বিরুদ্ধে। ওই দীঘি নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা চলমান। ৯ জুন শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন দীঘির মালিক মাহবুবুর রহমান।

লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নস্থ বৃন্দাবনপুর মৌজায় ওই দীঘির অবস্থান। ৪ দশমিক ৪৪ একর ভূমির মধ্যে ক্রয়সূত্রে ১ দশমিক ৮৫ একর ভূমির মালিক আব্দুল হামিদ ওরফে মাসুক মিয়া এবং দশমিক ৩৭ একর ভূমির মালিক ওয়াতির আলী। বর্তমানে ওই ২ দশমিক ২২ একর মাসুক মিয়া ও ওয়াতির মিয়ার উত্তরাধিকাররা ভোগ করছেন। বাকী ২ দশমিক ২২ একর ভূমির মালিক বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উল্লেখ করা হয় সম্প্রতি পতনঊষা ইউনিয়নের ১, ২, ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডের ইউসিদস্য রিপন ইসলাম ময়নুল, আব্দুল কুদ্দুছ, এখলাছ মিয়া ও সায়েক আহমদের নেতৃত্বে একটি চক্র একাধিকবার রাজদিঘী পরিদর্শনে এসে ‘দিঘীতে মাটি ভরাট, স্থাপনা নির্মান ও একটা প্রকল্প করা হবে’ ইত্যাদি নানা কথা বলে তাদেরকে উস্কানী দেয়। এর প্রেক্ষিতে আব্দুল হামিদ ওরফে মাসুক মিয়া ও মৃতঃ ওয়াতির আলীর পুত্র-কন্যাগন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), জেলা প্রশাসক ও জেলা মৎস্য অফিসারকে বিবাদী করে গত মাসের ২২ মে কমলগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন এবং আদালত বিবাদীর শকোজ করেন।

এদিকে জানা যায়, দিঘীটি স্থানীয় বাসিন্দাদের উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে।

পরে গত ২৮ মে ইউপি সদস্যগণসহ কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজদিঘীর পাড়ে এসে বলেন, ২ জুন সার্ভেয়ার দিয়ে দিঘী জরিপ করি অর্ধেক অংশ আলাদা করা হবে। এসময় আমাদের কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত থাকতে বলেন।

এবিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার মাহমুদুল হক বলেন, দিঘীর সরকারের অর্ধেক ভুমি ৫০টি ভুমি হীন পরিবারকে দেয়া হয়েছে এবং বাকীটুকু দিঘীর মালিকরা ভোগ করবেন। এটা উভয় পক্ষের সাথে বসে সমাধান হয়েছে।

 

শেয়ার করুন