গোলাম মোস্তফা:
গত ৯ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্ট্রিন ট্রুডোকে টুইট বার্তায় গালাগালি করেছেন। কারন জাস্টিন ট্রুডো জিএইট সম্মেলনে ট্রাম্পের কথায় সরাসরি প্রতিবাদ করেছিলেন সাংবাদিকদের সামনে।
ট্রাম্পের ভাবখানা এমন যে, তিনি পারলে ট্রুডোকে ফায়ার করেন।
কতখানি বেয়াদব হলে একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আরেকটি দেশের প্রেসিডেন্ট এ ভাষা ব্যবহার করতে পারেন।
যাইহোক, কানাডাও ট্রাম্পকে ছাড়ছে না। ক্যানাডাও পহেলা জুলাই থেকে আমেরিকা থেকে আমদানী করা পন্যের ওপর ট্যারিফ কার্যকরি করতে যাচ্ছে। Tit for tat. আমেরিকা একডলার ট্যারিফ ধার্য করলে কানাডাও এক ডলার ট্যারিফ বসাবে।
ক্যানাডার বিরোধীদলীয় নেতারাও জাস্টিন ট্রুডোর এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। কনজারভেটিভস্ পার্টির প্রাক্তন নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ষ্টিফেন হার্পারও জাষ্টিন ট্রুডোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। জাতীয় স্বার্থে ক্যানাডার সরকারী ও বিরোধী দলগুলো একাট্রা হয়ে গেছে। অন্টারিও প্রদেশের নবনির্বাচিত প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড ও ট্রুডোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। যদিও তিনি ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টির নন। তিনি প্রগ্রেসিভ কনজারভেটিভস্ পার্টির নেতা।
ক্যানাডিয়ানরা কত দেশ প্রেমিক! আমিও একজন নব্য কানাডিয়ান। আমি কী এই জিনিসটা পুরোপুরি শিখতে পেরেছি? জানিনা।
তবে এটুকু বলতে পারি ট্রাম্পের এ আচরনে আমাদের প্রধানমন্ত্রী জাস্ট্রিন ট্রুডো যে জবাব দিয়েছেন তাকে পুরোপুরি স্বাগত জানাই। মনে হয়, জবাবটা আরো কড়া হলে আরো ভাল হত।
কানাডিয়ান রাজনীতিকদের কাছ থেকে এ ভাল জিনিসটি শেখার চেষ্টা করছি।