জমি সক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

 

শাকির আহমদ:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার শহরতলীর আশিদ্রোন ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শংকরসেনা (মোকামবাড়ী) গ্রামের সালাম মিয়ার স্ত্রী আঙুরা বেগমকে (৪৫) কে জমি সক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে প্রতিপক্ষ চন্দন মিয়া গংরা। এঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ মূলহোতা চন্দন মিয়াকে আটক করেছে।
১১জুন সোমবার শ্রীমঙ্গল উপজেলার শিববাড়ী বাজার থেকে আঙুরা ইফতারী নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন এঘটনা ঘটে। নির্যাতিত মহিলা ৫ সন্তানের জননী।
ভুক্তভোগী আঙুরা বেগমের স্বামী সালাম মিয়া বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের সময় স্থানীয় শিববাড়ী বাজার থেকে ইফতারী নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে একই গ্রামের চন্দন মিয়া ও তার ছেলে নাজমুল মিয়াসহ ৬/৭ জন মিলে আমার স্ত্রী আঙুরা বেগমকে রাস্তা থেকে ধরে তাদের বাড়ীতে নিয়ে যায়। পরে তাদের বসতঘরে চেয়ারের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে। আমি সাথে সাথে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যান এবং থানা পুলিশকে খবর দিলে শ্রীমঙ্গল থানার এসআই হাফিজুল ইসলাম আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তিনি আরও বলেন,‘বিরোধের জের হল আমার ৭ শতক জমি দখল করে জোরপূর্বক মুরগির ফার্ম তৈরি করে নিছে। এনিয়ে অনেকবার ইউনিয়নে সালিশ বৈঠক হয়েছে। প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী থাকায় আমি সুবিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এব্যাপারে মৌলভীবাজার আদালতে মামলা বিচারাধীনও আছে। আমার স্ত্রী এখন সরকারী হাসপাতালের ৬নং ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন,সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।’
শ্রীমঙ্গল থানার উপ-পরিদর্শক মো.রফিকুল ইসলাম রাতেই এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,জমি সক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাকে ধরে নিয়ে এ নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন,খবর পেয়েই অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে আসি।
এব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা হয়েছে বলে উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান।

শেয়ার করুন