ডেস্ক রিপোর্ট:
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিয়ানীবাজারের উত্তর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এরই মধ্যে সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কের মেওয়ার মায়ন চত্বর এলাকায় উপর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ঈদুল ফিতরে উপজেলার বেশ কিছু এলাকার মানুষ দুর্ভোগে পড়বেন।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গতকাল উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এরই মধ্যে কুশিয়ারা নদীর অমলসীদ ও শেওলা পয়েন্টে বিপদসীমারা উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর শেওলা পয়েন্টে ৯৪ সেন্টি মিটার ও অমলসীদে ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর রক্ষা বাঁধ (ডাইক) ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। বিয়ানীবাজার উপজেলার বেশ কয়েকটি বাঁধ যেকোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে। বিশেষ করে খোড়াভরা, মেওয়া, আঙ্গারজুর, কাকরদিয়া, নেরাউদি ডাইক ভেঙ্গে গেলে মুহূর্তে তলিয়ে যাবে বিস্তৃর্ণ এলাকা।
বিয়ানীবাজারের দুবাগবাজার এলাকার নিম্নাঞ্চল পাহাড়িঢল ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে দুবাগবাজার তলিয়ে গেছে, কুশিয়ারা নদীর মেওয়া অংশের ডাইক উপছে পানি আসছে লোকালয়ে। এরই মধ্যে মেওয়া জামে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করেছে নদীর পানি। সন্ধ্যার পর থেকে মেওয়ার মায়ন চত্বর এলাকায় সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আরিফুর রহমান বলেন, বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে উপজেলা প্রশাসন। যেকোন পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।