মৌলভীবাজারে বন্যায় ৯৯ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্যার পানিতে প্লাবিত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
ভারতে বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় মৌলভীবাজার জেলায় এ পর্যন্ত ৩০টি ইউনিয়ন, দুটি পৌরসভা ও ৫টি উপজেলায় মোট ২২টি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় ও ৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে। বিদ্যালয় কোনোটিতে দুই ফুট পানি আবার কোনো স্কুলে তিন ফুট পানি রয়েছে। তবে পানি এখন কমতে শুরু করেছে। এসব বিদ্যালয়গুলোতে ঈদের ছুটির বন্ধ থাকায় পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে না বলে জানিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুল ওয়াদুদ। তিনি বলেন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৫টি, রাজনগর ৫টি, কমলগঞ্জ ৬টি, কুলাউড়ায় ৮টি মোট ২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জেলায় মোট ৯৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছেতা তারমধ্যে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ৬টি, কমলগঞ্জ ১৪টি, রাজনগর ৪৩টি ও কুলাউড়ায় ৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত। এসব স্কুল ঈদুল ফিতরের বন্ধ থাকায় পাঠদানে সমস্য হচ্ছে না। তবে বিদ্যালয়ে পানি না কমা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের তালিকা করা যাচ্ছে না।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, পানি কমে যাচ্ছে। আশাকরি একেবারে কমে যাবে।’
এদিকে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সোমবার (১৮জুন) দুপুরে মৌলভীবাজার সার্কিট হাউজে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে মতবিনিময় সভাকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ,এলজিইডি ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিভিন্ন সরকারী কর্মকতার কাছ সন্তুষ্টজনক তথ্য না পাওযায় ক্ষুব্দ হন ত্রাণ মন্ত্রী। এসব কর্মকর্তাদের কার্যক্রম মনিটরিং করার স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রতি আহবান জানান।
প্রসঙ্গত: ১৩জুন থেকে জেলায় স্বরণকালের মনু ও ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট বন্যায় বিভিন্ন স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধের ২৫টি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে দুই লক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে মৌলভীবাজার বারই কোনা দিয়ে মনুনদীর ভাঙনে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে বন্যা পরিস্থিতি বেশ উন্নতি হয়েছে। আগামী ২/৩ দিনে বন্যার পানি মোটামোটি কমে যাবে।

 

শেয়ার করুন