প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়িঘর ভাংচুর, আহত ৩

স্টাফ রিপোর্টার॥ শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৫নং কালাপুর ইউনিয়নের উত্তর মাইজদি গ্রামে বাড়ির গেইট ভাংচুর করে বাড়িতে প্রবেশ করে মারধর ও চুরির ঘটনা ঘটেছে, এ ঘটনায় ৩ জন মারাত্মক আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ২০ জুন বুধবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৫নং কালাপুর ইউনিয়নের উত্তর মাইজদি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।প্রতিপক্ষরা নেশাগ্রস্থ হয়ে, দেশীয় অস্ত্র দা রামদা লাঠি,রড, ছুলফি নিয়ে আলেচা বেগমের বাড়ির গেইট ভাংচুর করে। তখন ১ নং আসামী কাদির মিয়া অনাধিকার ভাবে ঘরে প্রবেশ করে বাড়ির সকলকে প্রাণে হত্যার হুকুম দিলে, আলেচা বেগমের বড় ছেলে যথা ৩ নং সাক্ষী সোলেমান মিয়াকে(২৮) অভিযোগে উল্লেখিত ৩ নং আসামী লিয়াকত মিয়া প্রানে হত্যার উদ্দেশ্য দা দিয়ে কোপ দিলে সুলেমানের ডান হাতের হাড় ভেঙে মারাত্মক জখম হয় তখন ৫নং আসামী হাসিম মিয়া হাতে থাকা রড দিয়ে সুলেমান মিয়ার পিঠে বারি দিলে পিঠে মারাত্মক জখম হয়ে পড়লে।

সুলেমান মিয়া চিৎকার করতে থাকলে ১ নং সাক্ষী ইমরান মিয়া(১৫) আগাইয়া আসিলে ২ নং আসামী মুজিবুর মিয়া হাতে থাকা রড দিয়ে ইমরানের মাথায় বারি দিলে তার মাথায় মারাত্মক ফুলা ও জখম হলে আলেচা বেগমের স্বামী ২ নং সাক্ষী জাফর আলী(৭০) ইমরানকে রক্ষা করিতে আগাইয়া আসিলে ৯ নং আসামী কয়েছ মিয়া হাতে থাকা দা দিয়ে জাফর আলীর মাথা লক্ষ্য করে ছেদ মারিলে তিনি হাত দিয়ে ছেদ আগলে রাখলে তার হাতের রগ কেটে গিয়ে মারাত্মক জখমের সৃষ্টি হয়। অপর ১, ২,৩ নং আসামীরা আলেচা বেগমের ঘরে ঢুকে আলমারি ভাংচুর করে অন্যান্য সাক্ষীদের মারধর করে।৪ নং আসামী সুহেল মিয়া আলমারি থেকে ২ ভরি ওজনের স্বর্ণের বালা নিয়ে যান যার বাজার দর আনুমানিক ১ লক্ষ টাকা। ৫ নং আসামী হাসিম মিয়া ১৪ আনা ওজনের কানের দুল নিয়া যান যার মুল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা। ৮ নং সাক্ষী সায়রা খাতুন বাঁধা দিলে ৭ নং আসামী রাসেল মিয়া তাকে টানা হেচড়া করিয়া শীল্লতাহানি করে গলা থেকে ২ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায় যার মুল্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা। এসময় সাক্ষীগণের হাল্লাচিৎকারে গ্রামের স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায়, তখন আসামীরা হুমকি দিয়ে বলে মামলা করিলে প্রানে হত্যার করে ফেলবো ।এসময় স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে ইমরানের অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ঘটনার ২ দিন সরজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় যে, আলেচার বেগমের বাড়ির গেইট ভাঙা,ঘরের আলমারি ভাঙা এবং ঘরের তৈজসপত্র তচনছ করা। উল্লেখ্য এ ঘটনায় আলেচা বেগম বাদী হয়ে ২৭ জুন মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে মামলা দায়ের করলে কোর্ট থেকে আসামীদের ধরার জন্য শ্রীমঙ্গলে থানায় ২৮ জুন বৃহস্পতিবার এফআইআর পাঠালে, ঐ দিন কয়েক ঘন্টার ভিতরে এসআই ফজলে রাব্বী ৫ নং আসামী হাশিম মিয়াকে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে, মৌলভীবাজার জেল হাজতে প্রেরণ করেন।শ্রীমঙ্গল থানার এসআই ফজলে রাব্বি গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শেয়ার করুন