- বড়লেখা প্রতিনিধি
- বড়লেখায় এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় ৩ বছর ধরে ধারাবাহিক ফলাফল বিপর্যয় ঘটছে। ২০১৫ সালে এইচএসসিতে (ভোকেশনাল-১৭সহ) ৪৫ জন ও আলিমে ১জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেলেও পরের বছর ২০১৬ সালে জিপিএ-৫ নেমে আসে এইচএসসিতে ৮ ও আলিমে ১ জনে। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ে একজনও জিপিএ-৫ পায়নি। এ দুই পাবলিক পরীক্ষায় ধারাবাহিক ফলাফল বির্পযয়ে অভিভাবক মহলে ক্ষোভ ও অসন্তেুাষ বিরাজ করছে।
- সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় একটি ভোকেশনারসহ উপজেলার ৭টি কলেজের ১৮১৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৯৭৮ জন। গড় পাশের হার ৫৩.৭৯%।
- মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় উপজেলার ৬টি মাদ্রাসা হতে ২৩৮ জন অংশ নিয়ে ১জনও জিপিএ-৫ পায়নি। পাশ করেছে ২১৩ জন এবং পাশের হার ৮৯%।
- উপজেলায় পাশের হারের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে নারী শিক্ষা একাডেমী ডিগ্রি কলেজ ও সুজানগর পাথারিয়া কলেজ। কারিগরিতে এবাদুর রহমান চৌধুরী টেকনিক্যাল এন্ড বি.এম কলেজ।
- মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা ডিগ্রি কলেজ থেকে ৭৩১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩১৪ জন, পাশের হার ৪২.৯৫%। নারীশিক্ষা একাডেমী ডিগ্রি কলেজ থেকে ৪৬৭ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩৩২ জন, পাশের হার ৭১.০৯%। শাহবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ থেকে ১২০ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৪৮জন, পাশের হার ৪০.০০%। দাসেরবাজার আদর্শ কলেজ থেকে ২২৬ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১২৯জন, পাশের হার ৫৭.০৭%। বর্ণি এম.মুন্তাজিম আলী মহাবিদ্যালয় থেকে ১৭০ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৮২ জন, পাশের হার ৪৮.২৪%। সুজানগর পাথারিয়া কলেজ থেকে ১০৪ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৭৩ জন, পাশের হার ৭০.২০%।
- উপজেলার একমাত্র কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবাদুর রহমান চৌধুরী টেকনিক্যাল এন্ড বি.এম কলেজ থেকে ৫৭জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৫৪ জন, পাশের হার ৯৪.৭৩%।
এইচএসসি ও আলিমে ফলাফল বিপর্যয় বড়লেখায় ৭ কলেজ ও ৬ মাদ্রাসায় নেই কোন জিপিএ-৫
শেয়ার করুন