মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
নৌ পরিবহন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খাঁন এমপি বলেছেন, খালেদা জিয়ার নির্দেশে এক হাজার গাড়ী পুড়িয়েছে। তিন হাজার গাড়ী ভাঙচুর করেছে। রেলগাড়ীতে আগুন দিয়েছে,লঞ্চ পুড়িয়েছে,স্টিমারে পেট্রোল বোমা মেরেছে। একটি উদ্দ্যেশে ছিল সেটি হল শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে। কিন্তু বাংলা মানুষ বিশেষ করে সড়ক পরিবহন শ্রমিক যারা শেখ হাসিনা ও আমারে সাড়া দিয়ে যারা গাড়ী চালু রেখে ছিলেন সেই ড্রাইভার হেলপাররা জীবন দিয়ে আজকের সেই স্বাধীন দেশকে একটা শান্তি প্রচেষ্টা করেছেন। সুতারাং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে শহীদ হয়েছেন তাদেরকে শহীদ বলি আর ২০১৩-১৪-১৫ সালে আমাদের শ্রমিক,পুলিশ ভাইরা যারা জীবন দিয়েছে তারাও শহীদ! তাদেরকে শহীদ বলে আমরা আখ্যায়িত করতে চাই।
১৯ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীমঙ্গল জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে মৌলভীবাজার জেলা শ্রমিক কর্মচারী শ্রমিক পেশাজীবি মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের অপশক্তি আরো শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করছে। আপনারা লক্ষ্যে করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটা জায়গায় ছাত্র ও মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা বাতিলের কথা বলে একটা আন্দোলন করলো। সেই রাতের বেলা ভিসির বাড়িতে আক্রমণ করলো,ভিসির বাড়িতে আগুন দিল,ভাঙচুর করলো,ভিসিকে হত্যা করতে গেলো। এই হত্যা করার উদ্যোশে কি?। উদ্যোশে হল একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। কিন্তু আমরা আজকে লক্ষ্যে করছি হাই কোর্ট যে নির্দেশনা দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধার কোটা থাকবে। তারপরও যারা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে কথা বলছেন আন্দোলন করছেন,তাদের উদ্যোশে আমি এইটুকু বলতে চাই যারা মুক্তিযোদ্ধা কোটা চান না তারা কি স্বাধীনতা বিরুদ্ধের লোক?। মুক্তিযোদ্ধাদের কট্রাক্ষ করা আপনারা ফেসবুকে নানা গালিগালাজ করেছেন এবং অনেকের পোষ্টার হাতে দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুকে কট্রাক্ষ করেছেন উদ্যোশটা কি। বাংলাদেশের মানুষ ত্রিশ লক্ষ যারা শহীদ হল তারা কি তাদের সন্তান আমরা যারা এখনো মুক্তিযোদ্ধা এবং আমাদের সন্তান এবং মুক্তিযুদ্ধের যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে সেই প্রজন্মরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা ৬ দফা দাবি দিয়েছি।এই ৬ দফা দাবির প্রথম দাবি হল, যারা মুক্তিযুদ্ধ করে নাই বা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের অপশক্তি সেই মুক্তিযুদ্ধা বিরোধী সন্তান তারা যদি সরকারী চাকুরী পায় তাহলে স্বাধীনতার বিপক্ষে কাজ করবে,সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করবে। সেই কারণে আমরা দাবি করেছি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী জামায়াত শিবির রাজাকার স্বাধীনতা বিরোধী যারা আছে তাদের কোনো সন্তারদের সরকারী চাকুরী দেয়া যাবে না। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এইকথা ঘোষণা করেছেন। সুতারাং আমাদের সাথে পরিস্কার হয়ে গেছে আমরা স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে এককভাবে লড়াইয়ে নেমেছি। কোনো ভাবে বাংলা মাটিতে মাথা উচু করে দাঁড়াতে দিব না।’
জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো.আজাদুর রহমান অদুদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক চীফ হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড.আব্দুস শহীদ এমপি। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ্জালাল। শ্রীমঙ্গল মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো.আব্দুল মুকিত। ট্রাক পরিবহন শ্রমিক নেতা মো.নুরু মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মো.শাহজাহান মিয়া, লাইট্রেস ও জীবগাড়ী পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়না মিয়াসহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। তবে অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আসেননি।
সাইফুল ইসলাম
মৌলভীবাজার
১৯ জুলাই ২০১৮
০১৭১৬৩৯৪৫৯০