- স্টাফ রিপোর্টার:
- কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার সরকারী হাটের ইজারাদারের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। অধিক মুনাফা লাভের আশায় অতীতের সকল রের্কড ভঙ্গ করে টোল আদায় করছেন নতুন ইজারাদার। এনিয়ে ওই বাজারের ভোক্তভোগী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ জানালে উল্টো নানা ভয়ভীত ও প্রভাব দেখাচ্ছেন ইজারাদার। নতুন ইজারাদার আসার পর থেকে ব্যবসায়ী ও পশুর হাটের ক্রেতাদের সাথে এনিয়ে দ্বন্ধ হচ্ছে। তারপরও থামছেন না ইজারাদার। এমন আচরনে বিক্ষুব্দ ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট নানা দপ্তরে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দিচ্ছেন। ঐতিহ্যবাহী এ বাজারের সুনাম,সম্মান বিনষ্ট ও ক্রেতা বিমুখ করতে ইজাদারের এমন পরিকল্পিত পায়তারা বলে অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরা। বিষয়টির দ্রুত সমাধান না হলে রক্তক্ষয়ি সংর্ঘষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ইতিমধ্যে ইজারাদারের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দের অভিযোগ থেকে জানা যায় ব্রাহ্মণবাজার সরকারী হাটের (১৪২৫) বাংলার নতুন ইজারাদার নাহিদ হোসেন সরকারের নীতিমালা লঙ্ঘন করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করেছেন। ১০-১৫ টাকার টোলের পরির্বতে ৭০-১০০ টাকা পর্যন্ত টোল আদায় করা হচ্ছে। এমনকি প্রতি সপ্তাহে কাচাঁবাজারের দোকান থেকে টোল আদায়ের কথা থাকলেও তারা এসব দোকান থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা মাসিক ভাড়া নিচ্ছেন,যার রশিদ কপিও দিচ্ছেন। এছাড়াও রাস্তার দু’পাশে অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে টোল আদায় করতে গিয়ে সাপ্তাহিক হাটের দিন রাস্তায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া বাজারে ঝাড়ুদার নিয়োগ না করায় সাপ্তাহিক হাটের পরদিন বাজারে পচাঁ ময়লা আবর্জনার স্তুপ থেকে দূর্গন্ধ চড়াচ্ছে। যার ফলে বাজারের পরিবেশ ও সৌন্দর্য বিনষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ইজারাদারের চাচাত ভাই ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ায় তিনি দাপট দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের হয়রানী করছেন। কিছু বলতে গেলে ব্যবসায়ীদের নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলেন জেলার মধ্যে অন্যতম রাজস্ব প্রদান কারী এ বাজারে কোন বছরই ইজারাদাররা টোল নিয়ে আমাদের সাথে এমন জালিমি আচরন করেন নি। আমরা এই নতুন ইজারাদারের কাছে চরম অসহায়। এমন অতিরিক্ত টোল আদায় অব্যাহত রাখলে ব্যবসা ছেড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে উপোস থাকা ছাড়া আমাদের অন্য উপায় নেই। ঐতিহ্যবাহী এই বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন বাজারের ব্যবসায়ী, ক্রেতা বিক্রেতাদের বাজার নিয়ে বিরুপ মনভাব তৈরী করতে ও এই ঐতিহ্যবাহী বাজারের সুনাম ও সম্মান বিনষ্ট করতে পরিকল্পিত ইজারাদার প্রভাব খাটিয়ে অতিরিক্ত টোল আদায় করছেন। এমনটি চলতে থাকলে দিন দিন এই বাজারে ক্রেতা বিক্রেতার সংখ্যা কমে যাবে। তখন সরকার চিরতরে বড় অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে। বিগত দিনে কখন এমন অস্বাভাবিক টোল আরোপ করা হয়নি। কোন কারন ছাড়া বাড়তি মুনাফা লাভে জোরখাটিয়ে ইজারাদার ব্যবসায়ীদের এই ক্ষতি করতে চাইছেন। ব্যবসায়ীরা জানান দ্রুত এর প্রতিকার না হলে তারা জোরালো আন্দোলনে নামবেন। তবে অতিরিক্ত টোল আদায় নিয়ে রক্তক্ষয়ি সংর্ঘষেরও আশঙ্কা করছেন অনেকেই। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাজারের নতুন ইজারদার নাহিদ হোসেন কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আগের নিয়মেই টোল তোলা হচ্ছে। আর আমার নামে হলেও ইজারায় আমরা সাথে অনেকেই শরিক রয়েছেন। আগের নিয়মে হলে কেন ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত টোল আদায় নিয়ে প্রতিবাদ করছেন এমন প্রশ্নের কোন সদত্তোর না দিয়ে তিনি প্রসঙ্গ বদলের চেষ্ঠা করেন। এ বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌ. মো. গোলাম রাব্বী জানান অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়টি আমি জেনেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণকরা হবে।
ফুঁসে উঠছেন ব্যবসায়ীরা— কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজার ইজারাদারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ
শেয়ার করুন