- সিলেট প্রতিনিধি
- সিলেটের কানাইঘাটে সুলতানা বেগম নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা ও মরদেহ গুম করার অপরাধে চারজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও আদালত তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন। রবিবার (৫ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক এএম জুলফিকার এ রায় ঘোষণা করেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি)ফখরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
- দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কানাইঘাটের বড়খেওর গ্রামের ইমাম উদ্দিনের ছেলে আবুল উদ্দিন, লিয়াকত আলীর ছেলে রাসেল আহমদ, সুরুজ আলীর ছেলে সাদেক আলী ও এরালিগুল গ্রামের বাবুল আহমদ। এরমধ্যে পলাতক রয়েছেন বাবুল আহমদ। বাকি সবাই রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
- আদালত সূত্র জানায়, শিশু সুলতানা বেগমকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে তার ভাই একলিম উদ্দিন বাদী হয়ে কানাইঘাট থানার দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মামলা (নং-২৪)করেন। কানাইঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর আদালতে চারজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতে মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয় চলতি বছরের ২৬ মার্চ। মামলায় ১৮ জন সাক্ষির মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও দুই পক্ষের যুক্তি তর্ক শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।
- মামলার বিবরণে জানা যায়,২০১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে সুলতানা বেগম তার বান্ধবি ফারজানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। ওই দিন সকালে ফারজানার ভাই আবুল উদ্দিনসহ অন্যরা বাড়ির পাশে একটি টিলায় কাজ করছিলেন। এ সময় আবুল উদ্দিন তার বোন ফারজানাকে খাবার পানি ও পান সুপারি-আনতে বলে। ফারজানা পানি ও পান-সুপারি নিয়ে নিজে না গিয়ে সুলতানাকে দিয়ে পাঠায়। এসময় আসামিরা সুলতানাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে মাটি চাপা দেয়। এরপর পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনাটি স্বীকার করলে পুলিশ মাটি খুড়ে শিশু সুলতানার লাশ মাটির নীচ থেকে উদ্ধার করে।
সিলেটে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড
শেয়ার করুন