শাহাদাত আহমেদ॥ পড়শ পাথর এমন এক পাথর যার স্পর্শে সবকিছু সোনা হয়ে যায়। এ পাথরের ছোয়ায় কয়লাও সোনায় পরিনত হয়। এক মহামূল্যবান পাথর। এদেশে ১৯০বছরের ইংরেজ শাসন ও ২৩ বছরের পাকিস্তানি শাসন-শোষন ভেঙ্গে নতুন গতিতে পরিচালিত করেন স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দিয়ে যান নতুন রুপরেখা, দেখিয়ে যান লক্ষ-কোটি স্বপ্নের ঠিকানা। কিন্তু তিনি ক্ষনজন্মা। তার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে, সোনার বাংলা গড়তে আবির্ভাব ঘটে এক পরশ পাথরের। যার নাম জননেত্রী শেখ হাসিনা। যাকে বলায় হয় ১৬কোটি মানুষের স্বপ্নের ঠিকানা,আশা-আকাঙ্খার ঠিকানা, নিরাপত্তার ঠিকানা, মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা। আজকের যে বাংলাদেশ আমরা দেখতে পাচ্ছি তার সবটুকুই জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান। এদের কৃষি,শিল্প,যোগাযোগ,অবকাঠামোগত উন্নয়ন,মাথাপিছু জাতীয় আয়, উৎপাদন বৃদ্ধি, জিডিপি বৃদ্ধি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে উন্নয়ন সব কিছুই তার কারিশমা। দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি হ্রাস, বেকারত্বের হার হ্রাস, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, প্রশিক্ষিত দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নে তিনি কার্যকরী ভূমিকা রাখেন।উন্নত চিকিৎসা অবকাঠামো সৃষ্টি ও উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে শিশু মৃত্যহার ও মাতৃমৃত্যুহার কমিয়ে এনেছেন। পেয়েছেন এমডিজি পুরষ্কার। সেনা,নৌ,বিমান বাহিনীর সংস্কার ও পুলিশ বাহিনীর সংস্কারে তিনি দেশে শৃঙ্খলা স্থাপন করেছেন। “কারো সাথে বৈরিতা নয় সকলের সাথে বন্ধুত্ব ” এই নীতি মেনে নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রীতিতে ও আন্তর্জাতিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খুব শক্ত অবস্থানে। যেকোনো আন্তর্জাতিক চ্যালেন্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ আজ সক্ষম। বাংলাদেশ এখন ক্ষুধা ও দারিদ্র্য পিড়ীত দেশ নয়। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়শীল দেশ। বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে নিজেদের সক্ষমতা অর্জন করেছে। বিশ্ববাসীকে অবাক করে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে নিজস্ব অর্থায়নে, পদ্মা সেঁতু করতে হয়। বাংলাদেশ এখন আর সাহায্য নেয়না বাংলাদেশ এখন সাহায্য দেয়, আশ্রয় দেয়। মায়ানমার থেকে আগত দশলক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে তিনি আজ বিশ্বে মানবতার মা হিসেবেই পরিচিত।বিশ্বে বাংলাদেশ নামটি আজ মানবতার মডেল। বংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপরেখা প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন করেন তারই গুনধর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। হাতে হাতে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট সেবা আজ দেশের প্রতিটি প্রান্তরে পৌছে গেছে। সরকারী-বেসরকারী সকল অফিস-আদালত,দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন হচ্ছে কম্পিউটারের মাধ্যমে।ব্যবসা-বানিজ্য পরিচালিত হচ্ছে ই-কমার্সের মাধ্যমে। ইতিমধ্যে দেশে ফোর-জি চালু আছে, ফাইভ-জি প্রক্রিয়াধীন। বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে স্ট্যাটেলাইট যুগে। আমাদের নিজস্ব স্ট্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ শোভা পাচ্ছে মহাকাশে। এই স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারই কন্যা দেশরতœ-বিশ্বরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা তার নামটিকে মহাকাশেও প্রেরণ করেন। যেন কোনো অপশক্তি বঙ্গবন্ধু নামটিকে মুছে ফেলতে না পারে। স্যাটেলাইট থেকে সুবিধা ইতিমধ্যে দেশবাসী পেতে শুরু করেছে। স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-২ নির্মাধীন আছে। বাংলাদেশ নামটি সারা বিশ্বের কাছে এখন বিস্ময়। সবাই এখন উদাহরন হিসেবে বাংলাদেশকে যেকোনো উন্নয়নের সাথে তুলনা করে। এদেশের মতো হতে চায়। বাংলাদেশ এখন মুজিব থেকে সজিব পর্যন্ত পৌছে গেছে। এ সবই সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা হলেন পরশ পাথর। যে পাথরের স্পর্শে ধ্বংস স্তুূপের বাংলাদেশ আজ সমগ্র বিশ্বের কাছে বিস্ময় হয়ে উঠেছে। আমি গর্বিত, গর্বকরে বলতে ইচ্ছে আমি এমন একজন পরশ পাথরকে, এমন একজন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে পেয়েছি যার সংস্পর্শে ধ্বংসস্তূপের বাংলাদেশ আজ সোনার বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে।” লেখক: বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শের সৈনিক শাহাদাত আহমেদ।
এক পড়শ পাথরের গল্প “বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শেয়ার করুন