ভাটেরা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে ভাটেরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম নজরুল ইসলামের করা অপপ্রচার এবং তা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের নিন্দা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি।
৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত গভর্নিং বডি সভায় এই নিন্দা জানানো হয়। গভর্নিং বডির সভাপতি ও উপজেলা চেয়াম্যান আসম কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উক্ত নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়। এতে বলা হয় ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর এইচ এসসি, এস এস সি ও জেএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবছর এসএসসিতে ৮টি জিপিএ-৫, এইচএসসিতে পাশর্^বর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শহরের দু একটি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে পাশের হার বেশী, জেএসসিতে গত বছর ১৬ জন শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫ লাভ, পাশের হার ছিল ৯৩.৫। অবকাঠামোগত উন্নয়নে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান। সম্পুর্ন রাজনীতিমুক্ত সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চলছে পাঠদান। সরকারের শিক্ষানীতির আলোকে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে ভাটেরা স্কুল এন্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানের ক্রমাগত সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে কতিপয় স্বার্ধন্বেষী নানা ষড়যন্তে লিপ্ত। সম্প্রতি ভাটেরা ইউনিয়নের চেয়াম্যান ইউনিয়ন কমপ্লেক্সে একটি সভা করে অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে উদ্যেশ্য প্রনোদিতভাবে মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া অভিযোগ এনে বক্তব্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করেন। বিষয়টি দৈনিক যুগান্তর এবং দু একটি অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। নিন্দা প্রস্তাবে বলা হয় এটা শুধু অধ্যক্ষ নয় এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। সভায় চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের প্রতিষ্ঠান বিরোধী তৎপরতায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এবং সত্যতা যাচাই না করে অসত্য সংবাদ প্রকাশ করায় প্রকাশিত সংবাদেরও প্রতিবাদ নিন্দা জানিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
সভায় অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গভর্নিং বডির শিক্ষানুরাগী সদস্য মো. আব্দুল লতিফ, শিক্ষানুরাগী সদস্য মো. উমেদ আল, অভিভাবক সদস্য সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ আজাদ মিয়া. মো. বাবরু মিয়া, মো. সাহেদুর রহমান, শিক্ষক প্রতিনিধি মো. আব্দুল হামিদ খান, মহিলা অভিভাবক সদস্য আশফা বেগম।