কুলাউড়া প্রতিনিধি॥ কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন ব্যাক্তির উদ্যোগে জাতি সংঘের ৭০তম অধিবেশনে অংশগ্রহণকারী শিশু প্রতিনিধি মনি বেগমের বসত ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৭ সালে ভূমিকম্পে ভেঙ্গে পড়া মাটির দেওয়াল ঘরটি বর্তমানে পাকা ঘর নির্মাণ করা হয় ইউএনও চৌঃ মো. গোলাম রাব্বির সার্বিক সহযোগিতায়। নির্মিত ঘরটি ১০ আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় উদ্বোধন করেন কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌঃ মোঃ গোলাম রাব্বী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সংক্ষিপ্ত সভায় পৃথিমপাশা ইউনিবয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবাব আলী বাকর খানের সভাপতিত্বে ও কুলাউড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ আশফাক তানভীরের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো: আব্দুর রউফ, ইউএনওর সহধর্মীনি মিসেস ফারজানা আব্বাছ, মৌলভীবাজার জেলা সাংবাদিক ফোরামের সাধারন সম্পাদক ও নিউ নেশন প্রতিনিধি এম. মছব্বির আলী, ডেইলী স্টারের মৌলভীবাজার প্রতিনিধি মিন্টু দেশোয়ারা, পৃথিমপাশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্পাদক আব্দুল মনাফ, রবিরবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদ ও ইউপি সদস্য মাসুদ রানা আব্বাছ, সংস্কৃতিকর্মী মো: আতাউর রহমান মুমিত, পৃথিমপাশা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ময়নুল ইসলাম পংকি, পূর্ব-পশ্চিম প্রতিনিধি এম. এ কাইয়ুম, সাংবাদিক রাজু আহমদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে মনি বেগম জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনের শিশু অধিকার সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করে। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ভূমিকম্পে তার মাটির বসত ঘরটির দুটি দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে। ভাঙ্গা ঘরে কাপড় এবং বস্তা দিয়ে মুড়িয়ে মৃত্যুঝুকি নিয়ে এ পরিবার বসবাস করে আসছিলো। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণ্যমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন ব্যক্তি তার বসত ঘর নির্মাণ কাজে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌঃ মো. গোলাম রাব্বী, অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ, নারী উদ্যোক্তা মিসেস মেরিনা ইয়াছমিন চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আবু তাহের চৌধুরী প্রমুখ ব্যক্তিদের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
এ বিষয়ে মনি বেগম এক প্রতিক্রিয়ায় তার বসত ঘর নির্মাণ কাজে সহযোগিতাকারী উপজেলা প্রশাসন, গণমাধ্যম কর্মী ও যারা সহযোগিতা করেছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।