বার্নিকাটের গাড়িতে হামলা ঢাকার নিন্দা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব

  • কূটনৈতিক রিপোর্টার
  • মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িতে সশস্ত্র হামলার ১২ দিন পর এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ অভিহিত করে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে- দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পর এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে এ-ও জানানো হয়, বাংলাদেশে থাকা কূটনৈতিক কোরের সদস্যদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। গত ৪ঠা আগস্ট রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি নৈশভোজের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বহনকারী একটি গাড়ি লক্ষ্য করে মোটরসাইকেল আরোহীসহ সশস্ত্র ৩০-৪০ জন লোক হামলা চালায়। রাষ্ট্রদূত ও তাঁর নিরাপত্তায় নিয়োজিত দলের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে রাষ্ট্রদূত অক্ষত অবস্থায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
    হামলায় রাষ্ট্রদূত, তাঁর গাড়িচালক ও নিরাপত্তা স্টাফদেরও কোনো ক্ষতি হয়নি জানিয়ে পরদিন এক বিবৃতিতে হামলার ঘটনায় দ্রুত সাড়া প্রদান এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও পুলিশের প্রতি দূতাবাসের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের বিষয়টি উল্লেখ ছিল। এদিকে কূটনৈতিক সূত্র মতে, মার্কিন দূতের গাড়িতে সশস্ত্র হামলার ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। ঘটনার পরদিন রাতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তরফে নোটভারবাল পাঠিয়ে ঘটনার দ্রুত তদন্ত এবং অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানানো হয়। পরে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে ডেকে নিয়ে ঘটনা পরবর্তী সরকারের অ্যাকশন সম্পর্কে জানাতে চাওয়া হয়। অবশ্য ঘটনার পরপরই ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিব বৈঠক করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনের ওই বৈঠক প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয়। সেখানে সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা বার্নিকাটকে একটি বিষয় স্পষ্ট করার চেষ্টা করেন যে হামলাটি অপ্রত্যাশিত, আচমকা। সেখানে রাষ্ট্রদূত হামলাকারীদের টার্গেট ছিলেন না। কিন্তু ১০ই আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক সমাবেশে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সঙ্গে নিয়ে কামাল হোসেনরা সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র করছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ কমাতে গতকাল সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয় বলে জানা গেছে।
শেয়ার করুন