‘অবৈধ দখলদাররাই কিন্তু সরকারী জমি ইজারা পায়’ শহরের ১০ কোটি টাকা মূল্যের জমি ইজারা নিয়ে জেলা পরিষদ সদস্যর সংবাদ সম্মেলনে দাবি

 

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
সরকারি সম্পত্তি,অর্পিত সম্পত্তি। এসব জমির লীজ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম শর্তই হচ্ছে দখল। আব্দুল হালিম এই জমির দখলে কখনই ছিল না। সে লীজের শর্ত ভঙ্গ করেছে। এ জন্য বিগত তিনবছর ধরে এ জমির বন্দোবস্তর নবায়ন বন্ধ রয়েছে।
১৮ জুলাই শনিবার দুপুরে স্থানীয় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে শহরের সাগরদীঘী সড়কে ১৬ শতক ভিপি বন্দোবস্ত সরকারী জমির ইজারা নিয়ে লীজ আবেদনকারী আবু বক্কর সিদ্দিকের মোহনের পক্ষে তার মামা জেলা পরিষদ সদস্য মশিউর রহমান রিপন এ দাবী করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মশিউর রহমান রিপন তার লিখিত বক্তব্যে শিরীন আক্তার কর্তৃক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবী করে বলেন,‘আব্দুল হান্নান ২০০৬ সালে ওই জমি লীজ নিয়ে আবার সরকারের নিকট সারেন্ডার করেন। পরবর্তীতে ওই জমি আবু বক্কর সিদ্দিক মোহন ও তার পিতা আব্দুল হান্নানের অবর্তমানে আব্দুল হালিম লীজ নেন। শর্ত ভঙ্গ করায় গত তিন বছর যাবত ওই জমির আর আবদুল হালিমের নামে লীজ নবায়ন হয়নি। বর্তমানে আবু বক্কর সিদ্দিক মোহন ওই জমির ১৬ শতক ভূমি লিজ প্রাপ্তির জন্য জেলাপ্রশাসনে আবেদন করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মশিউর রহমান রিপন বলেন, আবদুল হালিম সরকারি রেকর্ড মূলে ওই জমির ইজারাদার ছিল। সে সরকারের বৈধ ইজারাদার। সে কারনে তিনি সরকারের সব শর্ত ও আইন মানতে বাধ্য। আর আমরা হচ্ছি এই ভূমির দখলদার। দখলদার বলতে,আমরা অনুমতিহীন অবৈধ দখলদার’। তিনি দাবি করেন, অবৈধ দখলদাররাই কিন্তু সরকারী জমি ইজারা পায়। কারণ হিসেবে তিনি বলেন- জেলা প্রশাসনে লিজ আবেদনে প্রথমেই লিখতে হয় এই জমি আমার ভোগ দখলে আছে’।
বর্তমানে বৈধ লীজ গ্রহীতা আব্দুল হালিম জানান, ২০০৬ সাল থেকে ওই জমির বৈধ লিজার ছিলেন তার মামা প্রবাসী আব্দুল হান্নান। পরবর্তীতে তিনি ২০১১ সাল থেকে সরকারের সব শর্ত মেনে নিয়েই ওই জমির ভোগ দখলে আছেন। বর্তমানে ওই জমির লীজ নবায়নের কাজ জেলা প্রশাসনে প্রক্রিয়াধীন আছে।
জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গলের সহকারী কমিশনার ভূমি মো.আশেকুল হক বলেন,আবুল হালিম বৈধ লীজার। লীজ নবায়নের জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্দেশে তদন্ত করে উক্ত ভূমিতে ১৩টি দোকান কোঠা ভাড়াটিয়ার মাধ্যমে আব্দুল হালিমের দখলে পাওয়া যায়। তাই ১৪২৫ বাংলার জন্য লিজমানি ৮৩,৬৪০ টাকা আদায়সহ আব্দুল হালিমের নামে লীজ নাবায়নের জন্য সুপারিশ করে জেলা প্রশাসনে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়। যাহা প্রক্রিয়াধীন আছে।

শেয়ার করুন