শিকড়ের সাথে সেতুবন্ধন

মনুমুখে  বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল কিশোরী

স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান ও মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল আহম্মেদ এর হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেলো রেহেনা বেগম (১৬) কিশোরী। এ ঘটনায় বর ও বরের বাবাকে আটক করে মডেল থানা হাজতে রাখা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে  ২৭ আগষ্ট সোমবার  দুপুরে সদর উপজেলার ২নং মনুমুখ ইউনিয়নের নিজ বাহাদুরপুর গ্রামে। সদর উপজেলার ২নং মনুমুখ ইউনিয়নের নিজ বাহাদুরপুর গ্রামের তছিম মিয়ার কিশোরী কন্যা রেহেনা বেগম এর বিয়ে ঠিক হয় হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার পুনই গ্রামের ধনাই মিয়ার পুত্র নজির আহমদ (২৫) এর সাথে। বর কনের বিয়ের বয়স হয়নি বর পক্ষ আগে জানলেও তারা ২৭ আগষ্ট বিয়ের আয়োজন করে। পরে বিয়ে চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকবর্তা ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল নিয়ে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়। স্থানীয় মনুমুখ ইউপি চেয়ারম্যান সেপুল সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ গ্রাম পঞ্চায়েত ও জন প্রতিনিধিরা কিশোরী কনের পরিবারের পক্ষে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অঙ্গীকার করেন প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তার বিয়ে হবে না তখনই তাদেরকে জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে বর ও কনের অভিবাবককে আটক করে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

 

শেয়ার করুন