লাইফ কেয়ার হাসপাতালের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিমের সম্মেলন মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে

সংবাদ সম্মেলন
মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব

আমি মো.আব্দুল হালিম,পিতা মৃত-আব্দুল করিম,সাং-জগন্নাথপুর,থানা ও জেলা-মৌলভীবাজার। আমি একজন ব্যবসায়ী।
আমি মৌলভীবাজার শহরের লাইফ কেয়ার প্রাইভেট হাসপাতালের চেয়ারম্যান। পাশা-পাশি সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত আছি। শ্রীমঙ্গল শহরে আমার কয়েক কোটি টাকা সম্পত্তি রয়েছে।
আমি অত্যন্ত দু:খের সাথে বলছি যে, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের ১২নং ওয়ার্ডের সদস্য মো.মশিউর রহমান রিপন,পিতা-মৃত-হাবিবুর রহমান,সাং- রাজাপুর,উপজেলা-শ্রীমঙ্গল,জেলা-মৌলভীবাজার।
সে প্রতিনিয়ত আমাকে সমাজে হেয়পতিপন্ন ও সম্মানহানীর উদ্দেশে একের পর এক মিথ্যা বনোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে ও সংঘবদ্ধ দলবল নিয়ে ষড়যন্ত্র করে আসছে।
মশিউর রহমান রিপনের ভাগ্নে আবু বক্কর সিদ্দিকী মোহনকে নিয়ে লোভে ভষিভূত হয়ে মশিউর রহমান রিপন আমার মামার শ্রীমঙ্গলস্থ শান্তিবাগ ও শাহিবাগ বাসা বাড়ী ও বিভিন্ন মার্কেটের জমির কাগজপত্র জালিয়াতি করে দখলের জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে সংঘবদ্ধ তার বাহিনী নিয়ে।


তাছাড়া মৌরসীসত্ব জমি,বাড়ী,বাসা দখল ও আতœসাৎসহ লন্ডন প্রবাসী আব্দুল হান্নান মামাকে হত্যার জন্য বিভিন্নভাবে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নানা পরিকল্পনা করে আসছে। এসব ঘটনার স্বাক্ষী হিসেবে শ্রীমঙ্গল শহরের আরেক ভূমিদুস্য আমির মাঝি নামে এক ব্যক্তি রয়েছেন। (তার প্রমান মোবাইল ফোনের ভয়েজ রের্কড)।
এমনকি মশিউর রহমান রিপন একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করে যাচ্ছেন, আমি কোথায় কোনো সুবিচার পাচ্ছি না । তাই আপনাদের দারস্থ হয়েছি।
গত ১৮ আগস্ট শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে মশিউর রহমান রিপন আমার খালা শিরিন আক্তারকে জড়িয়ে যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারই আলোকে আজ আমার এই সংবাদ সম্মেলন।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ:
গত ১৮ আগস্ট শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে জৈনক্য, মো.মশিউর রহমান রিপন,সাংবাদিক সম্মেলনে আমার ব্যবসায়ী পাটনার বাসা বাড়ী ও মার্কেটের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন আমার খালা শিরিন আক্তার। তাকে জড়িয়ে যেসব মানহানীকর সাজানো মিথ্যা,ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেছেন তা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে মশিউর রহমান রিপন বলেছেন, শিরিন আক্তার শান্তিবাগ সাগরদিঘী রোডস্থ মার্কেটে তার কোনো প্রকার সম্পৃক্তা নাই,এমনকি কোনো জমি/মার্কেট বা বাড়ীর মালিক অথবা মালিকের ক্ষমতাপ্রাপ্ত বা কোনো ভাড়াটিয়া নহে। সে নাকি তার ভাগ্নে এবং ভাগ্নের বাবার ব্যক্তিগত গাড়ী চালকের বৌ, ভাগ্নের পিতার জমিতে অস্থায়ী ভাবে দয়াগুনে তাকে বসবাসের মৌখিক অনুমতি দিয়ে,এক কথায় আশ্রিতা হিসেব আখ্যায়িত দিয়েছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

মশিউর রহমান রিপনের এই বানোয়াট তথ্যের জন্য আমি অত্যন্ত দু:খের সাথে বলতেছি, লন্ডন প্রবাসী আমার মামা আব্দুল হান্নান লন্ডন থেকে একখানা আমমোক্তার নামা সম্পাদন ক্রমে আমাকে তিনি বর্ণিত ভূমির দেখাশুনা,হেফাজন,সংরক্ষণ ও বিক্রয় ইত্যার জন্য আমমোক্তার নিযুক্ত করিয়াছেন। সেই মোতাবেক তফশীল বর্ণিত ভূমির উপর নির্মিত বাসা-বাড়ী আমার তত্বাবধানে থাকাকালীন আমার শারীরিক সমস্যার কারণে যাতায়াত অসুবিধার কারণে আমি বিগত ৬.৫.২০১৮ইং তারিখ হইতে নোটারী পাবলিক,মৌলভীবাজার এর মাধ্যমে মোছা.শিরিন আক্তার (আমার খালা) স্বামী ইছরাইল মিয়া,সাং শাহীবাগ,থানা শ্রীমঙ্গল।
তফশীল: শ্রীমঙ্গল উপজেলার সুনগইড় মৌজা জেএল,নং-৬৮,এসএ খতিয়ান নং ২৩৮০,আরএস ১০৪৮,আরএস ফাইনাল ৫১৬,নামজারী পর ১৬৩০ নং খতিয়ানের এসএ দাগ নং ২৭২,২৭৩,২৭৪,২৭৫,২৮৪,আর এস ১১৪৫ ও ১১৪৭। মোট ৩০ শতক ভূমি। বর্ণিত ভূমির বাড়ী দেখাশুনাসহ বাসাবাড়ীর অবস্থানরত ভাড়াটিয়াগণদের তদারকি ক্রমে ভাড়াটিয়া যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
শিরিন আক্তার লন্ডন প্রবাসী আব্দুল হান্নানের চাচাতো বোন। তিনি আশ্রিতা হবেন কেন। উনার স্বামী একজন শ্রীমঙ্গল পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ৩/৪ বারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি শ্রীমঙ্গল শহরের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত রয়েছেন। শিরিন আক্তার আশ্রিতা হবে কেন, তার বাবার মৌরসীস্বত জমির মধ্যে বসবাস করছেন।

প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা:
জেলা পরিষদের সদস্য মশিউর রহমান রিপন সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন, শিরিন আক্তারের সংবাদ সম্মেলনে দাবি, শ্রীমঙ্গল সাগরদীঘি রোডস্থ শান্তিবাগ এলাকায় রুপশপুর মৌজার জেএল ৬৭,খতিয়ান নং ৫৬৬,দাগ নং ১২০৪,এর ষোল শতক ভূমির উপর স্থীত মার্কেট ৮/১০ বছর ধরে ভাই ও নিজ নামে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
শ্রীমঙ্গল ইব্রাহিমপুর এলাকায় তালুকদার ভিলা মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মো.আব্দুল হালিমের লীজ বন্দোবস্তকারী বলে উল্লেখ করেছেন ?।
মশিউর রহমান রিপন বলেছেন,আমার লীজ বৈধ নয়, এবং তিন বৎসর লীজের শর্ত ভঙ্গের কারণে লীজ নবায়ন বা খাজনা প্রদান করতে পারেনি, যা জেলা প্রশাসকের উদ্ধৃতি দিয়েছেন এবং শিরিন আক্তার ও শাহিন মিয়া এবং আনোয়ারের কোনো ব্যবসা প্রতিষ্টান নাই অতীতে ছিল না। তিনি শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির প্রত্যায়ন পত্র ও শিরিন আক্তারের এই মার্কেটে তার ব্যবসা প্রতিষ্টান নাই বলিয়া মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন তারও নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তাঁর এই বক্তব্য আমি বলতেছি:
মশিউর রহমান রিপন কতিপয় স্থানীয় যুবলীগ নেতাদের সাথে নিয়ে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্টান ও মার্কেটে মালিকানা দাবি করে দোকান কোঠার ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করে আসছেন। ইতোমধ্যে বেশ কিছু টাকা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ভাড়া আদায় করেছেন। যা সম্পূণ অবৈধ। আমি মার্কেটের বৈধ লীজ গ্রহীতা। চুক্তিপত্রের মাধ্যমে আমার মার্কেটের ভাড়াটিয়া জামানতের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
সম্প্রতি জেলা পরিষদের সদস্য মশিউর রহমান রিপন ও তার ভাই লিংকন মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তালেব বাদশা,পৌর যুবলীগের আকবর হোসেন শাহীন,শের জাহান সেজুসহ মার্কেট দখল ও আমার ভাড়াটিয়ার উচ্ছেদের জন্য বিভিন্নভাবে হুমকী ধামকীতে দিয়ে আসছেন। এমনকি একটি দোকানের তালা দিয়েছেন এই সংঘবদ্ধ ভূমিখোর চক্র। আমার মার্কেটের ব্যবসায়ীকে হুমকী ধামকী দিয়ে ভাড়া আদায় ও দোকান ছাড়িয়া যাওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে ভয়েজ রের্কড ও অডিও রের্কড রয়েছে।
মশিউর রহমান রিপন তার রাজনৈতিক ক্যাডারদের নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্টানে এসে মহড়া দিচ্ছে এ বিষয়টি নিয়ে খালা শিরিন আক্তার শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির দারস্থ হলেও তাদের পক্ষপাতের কারণে সুবিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এমনকি গত ১ আগস্ট ২০১৮ ইং তারিখে মশিউর রহমান রিপন আমার মার্কেটের এক ব্যবসায়ীর কাছে তালাচাবি দাবি করে। তালাচাবি না দেয়ার কারণে জোরপূর্বক দোকান কোঠা দখল ও প্রাণে মারার হুমকী দেয়।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ:
সংবাদ সম্মেলনে আমার খালা শিরিন আক্তারের বক্তব্য নিয়ে আরও উল্লেখ করেছেন,তিনি মশিউর রহমান রিপন ও তার ভাই লিংকন মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তালেব বাদশা,পৌর যুবলীগের আকবর হোসেন শাহীন,শের জাহান সেজু চাঁদা দাবি ও ভয়ভীতির বিষয়টি অস্বীকার বলেছেন এটা নাকি সম্পূর্ণ মিথ্যা ?।
আমি ডকুমেন্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে বলতেছি, মশিউর রহমান রিপনসহ প্রত্যেকের কার্যকলাপ ও কতিপয় নামধারী যুবলীগের নেতাকর্মীদের মোবাইল ফোনে ভয়েজ রের্কড আছে। আমরা কারো মান সম্মান ক্ষুণ করতে চাই না। তিনি জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে ক্ষমতার দাপুটে আমার বৈধ লীজকৃত ভূমি ও মার্কেট দখলের চেষ্টা করছেন। আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন, সম্প্রতি মৌলভীবাজার চেম্বার অব কর্মাসের ডিরেক্টর তাজুল ইসলামের শ্রীমঙ্গলস্থ দোকানকোঠা দখল করার জন্য জেলা পরিষদের মশিউর রহমান রিপনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। যা আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ:
মশিউর রহমান রিপন সংবাদ উল্লেখ করেছেন, রিপনের ব্যক্তিগত সাগরদিঘী রোডস্থ ৮৬/৬৮ মোকদ্দমা ভুক্ত সরকারী ভূমিতে দীর্ঘদিন যাবত ০.৪ শতক ভূমির বৈধ বন্দোবস্তপ্রাপ্ত মালিক।
এবং আরও ১৬ শতক ভূমিতে বিগত ২০০৫ সালে আবু বক্কর সিদ্দিকি মোহনের পিতার নামীয় ও দখলদার বটে। কয়েক বছর পূর্বে তার ভাগ্নে তার সহপরিবার লন্ডন চলিয়া যায়।
এই মার্কেটের দেখাশুনার জন্য আমাকে কেয়ার টেকার দায়িত্ব দেয় হয়। এমনকি আমি নাকি লন্ডন থাকার সুবাধে ১৬ শতকের লীজ আমার নামে নবায়ন করেছি। তার ভাগ্নে দেশে আসিয়া জানতে পারিয়াছেন এসব নিয়ে আমার সাথে আবু বক্কর সিদ্দিকি মোহনের মামলার কথাও বলেছেন। মোহনের নাকি মার্কেটের ভাড়াটিয়া নামাও আছে, ভাড়ার রশিদও আছে।
মশিউর রহমান রিপন নিলজ্জ মিথ্যাবাদী ও সন্ত্রাসী লোক বটে। প্রথমতো মশিউর রহমান রিপনের নামে ২০১৬ সালে ০.৪ শতক ভূমি বন্দোবস্ত নেয়। এই ভূমি সাথে আমাদের কোনো সর্ম্পক নাই। আমার মার্কেট থেকে রিপনের ভূমি ২০০ গজ দূরে। শান্তিবাগ সাগরদিঘী সড়কে মোট ২৪ শতক ভূমির মধ্যে আমার ১৬ শতক ভূমিতে নির্মিত দোকান কোঠা।
আমি পরিস্কারভাবে উল্লেখ করছি যে, শ্রীমঙ্গল উপজেলার রুপশপুর মৌজার ক তফশীল ভূমির আরএস ১/১ নং খতিয়ানের ৪৬৯৭ নং দাগে ০.৩৮২৪একর, এসএ দাগে ০.৩৭০০ একর ভূমি ভিপি ক তফশীলের ভূমি। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক উহার দখল নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখিয়া ভিপি বন্দোবস্ত মোকদ্দমা ৮৬/৬৮ মূলে ১৩/০২/২০০৬ সালে আমার মামা আব্দুল হান্নান,পিং মৃত হাজী আব্দুল গফুর,সাং-শাহীবাগ,শ্রীমঙ্গল,২৪ শতক ভূমি বন্দোবস্ত প্রাপ্ত হয়ে ভোগ নির্মানে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।
পরবর্তীতে মামার লীজ বাতিল হয়ে যাওয়ায় আমি ২৫.০৯.২০১১ইং তারিখে ২৪ শতক ভূমির মধ্যে ১৬ শতক ভূমি লীজমানি পরিশোধ করার পর আমার নামে বাংলাদেশ সরকার বন্দোবস্ত প্রদান করেন। এই মার্কেটের যাবতীয় পৌরকর সময়মতো পরিশোধ করে যাচ্ছি। তারমধ্যে ৫ শতক ভূমি তাজুল ইসলাম,পিং- আব্দুল মতলিব সাং-সাগরদীঘি রোড শ্রীমঙ্গল। আর ৩ শতক ভূমি আব্দুল ওয়াহিদ বাচ্চু,পিতা-মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকী,সাং ঘড়গাও,রাজনগর, নামে বন্দোবস্ত নেয়। এর আগে ২২.০৯.২০০৬ ইং তারিখে আমার মামা ছেলে আবু বক্কর সিদিক্কী মোহন আমাকে মৌলভীবাজা জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে রেভিনিউ শাখা অঙ্গীকার নামা প্রদান করেছেন যে,আমার পিতার নামে নি¤œ বর্ণিত তফশীলে বন্দোবস্তকৃত ভূমিতে আমার কোনো দাবি দাওয়া নাই বলে তিনি লিখিতভাবে অঙ্গীকারনামা করেছেন।
মশিউর রহমান রিপনের ভাগ্নে মোহন ২০১৪ সালে লন্ডন চলে। ২০১১ সালে আমার নামে সরকার লীজ বন্দোবস্ত প্রদান করে। এতোদিন মোহন দেশে থাকা সত্বে এই ভূমি কেন দাবী করলো না। এখন তারা কেন এই ভূমি দাবি করে তাই আমি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছি। তারা তাদের দখলীয় মার্কেট যদি দাবি করে তাহলে পুরো ২৪ শতক ভূমি দাবি করবে ?। কিন্তু শুধু ১৬ শতক ভূমি নিয়ে দাবি করবে কেন ?। তাহলে পরিস্কার ভাবে বুঝা যায় আমার ভূমি আতœসাৎতের জন্য মশিউর রহমান রিপন ও তার ভাগ্নে আবু বক্কর সিদ্দিকী মোহন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে।
এছাড়া আমার দোকান ভাড়াটিয়া উচ্ছেদসহ নানাভাবে হুমকী ধামকী প্রতিনিয়ত দিয়ে যাচ্ছে। আমার মার্কেটে মোট আমার ১৩টি দোকান ও ১ টি অফিস রয়েছে। তারমধ্যে তিনটি দোকান কোঠায় আমার খালা শিরিন আক্তার পার্টনারশীপে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ: মশিউর রহমান রিপন যদি তার ভাগ্নে মোহনের সম্পদ রক্ষা করতে এতো মরিয়া হয়ে উঠছেন ?। তাহলে তার ভাগ্নের দাবিকৃত ওই ভূমিতে ২৯.৬.২০১০ সালে উল্লেখিত ৮৬/৬৮ তফসীল ভূমিতে মশিউর রহমান রিপন নিজেই ভূমিহীন সেজে ২৪ শতক ভূমি বন্দোবস্তের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেন।
এখন তিনি আবার আমার এই ১৬ শতক ভূমি দাবি করেন । দাবি করলে তো পুরো ২৪ শতক ভূমি নিয়ে দাবি করতেন, তার রহস্য আমি খোঁজে পাচ্ছি না। তার এই কার্যকলাপে সাংবাদিক ভাইয়েরা বুঝতে পেরেছেন, মশিউর রহমান রিপন মামার সম্পদ আতœসাৎতের লোভে কতুটুক হিংস হতে পারে ।
তাই তার ডকুমেন্ট হিসেবে ভূমি অফিসে মশিউর রহমান রিপনের ভূমিহীন সেজে আবেদন করেছেন। (তার কপি সংযুক্ত করে দিলাম)

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ:
মশিউর রহমান রিপন সংবাদ সম্মেলন আরও উল্লেখ করেছেন, আমার হুকুমে কিছু লোক মার্কেটে জোর পূর্বক ভাড়া আদায় চেষ্টা করলে সকল ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনের দারস্ত হন। উভয় পক্ষের মালিকানা ডকুমেন্ট দেখাতে সক্ষম হলেও অন্য পক্ষ দেখাতে পারেনি। ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কামাল হোসেন আমার দোকানের ভাড়াটিয়াদের কাছে জানতে চান তোমরা কাকে ভাড়া প্রদান করছো ?। উত্তরে নাকি সবাই আবু বক্কর সিদ্দিকি মোহনের নাম বলেছে?।

মশিউর রহমানের এই মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করার জন্য ধিক্কার জানাই-প্রথমতো আমি মার্কেটের বৈধ্য লীজ গ্রহীতা।
দ্বিতীয়তো আমরা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনের কথামতো সাঁড়া দিয়ে তার অফিসে আমি ও আমার খালার স্বামী ইছরাইল মিয়া,মো.কালাম মিয়াসহ অনেকে যাই। কিন্তু আমাদের পতিপক্ষ তারা কেউ হাজির হননী। হাজির না হওয়ার কারণে ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী কামাল হোসেন আমাদেরকে চলে যেতে বলে। তোমরা তোমাদের অবস্থানে থাক। মশিউর রহমান রিপন গং বরং হাজির না হয়ে মিথ্যা কুৎসা রটাচ্ছেন। তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তৃতীয়তো মার্কেটের কোনো ভাড়াটিয়া মোহনকে ভাড়া প্রদান করে নাই- বরং আমার ভাড়াটিয়াদেরকে যুবলীগের কতিপয় নামদারী নেতাকর্মীরা ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মামলা হামলার হুমকী ধামকী দিয়ে কিছু ভাড়া আদায় করে নিয়েছেন। যা আমার কাছে তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মোবাইল ফোনের ভয়েজ রের্কড আছে। চাইলে আপনারা শুনতে পারবেন।
সাংবাদিক ভাইদের কাছে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই, গত রমজান মাসে মশিউর রহমান রিপন আমার মার্কেটের ব্যবসায়ীদেরকে শ্রীমঙ্গল পাঁচ ভাই হোটেলে ইফতারের দাওয়াত দিয়ে ইফতারের ঠিক আগ মহুর্তে একটি কাগজে তাদের স্বাক্ষর নেন। ৫/৬ জন না বুঝে স্বাক্ষর দিলেও অন্যারা স্বাক্ষর দেয়নি। ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মশিউর রহমান রিপনের ভাই লিংকন মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তালেব বাদশা,পৌর যুবলীগের আকবর হোসেন শাহীন,শের জাহান সেজুসহ অনেকে।
সর্বশেষ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন আমার ভাড়াটিয়াদেরকে হুমকী ধামকী দিয়ে বলেছেন এখানে ছাত্রলীগ,যুবলীগ জড়িত। যেকোনো সময় যেকোনো ধরণের অঘটন ঘটতে পারে। তোমরা জেল খাটবায় দোকানও ছাড়িয়া যাইতে বাধ্য হইবায়। তোমরা কোনটা চাও ! আমি ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী কামাল হোসেনের এমন আচরণে দু:খ প্রকাশ করছি। একজন ব্যবসায়ী নেতা তার ব্যবসায়ীদের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়াবে ? সে উল্টো তাদের ধারা প্রবাবিত হয়ে এ ধরণের পক্ষপাতিত্বমূলক কাজ আমি কখন আশা করিনি। এ রকম আরও ২/৩ জন ব্যবসায়ী সমিতির সমিতির সম্পাদক ধান্দাখোর মৌলভীবাজার জেলায় থাকে, তাহলে ব্যবসায়ী সমাজকে কুলষিত করবে। আমি তার কার্যকলাপে ধিক্কার জানাই।
তার আগে ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী কামাল হোসেন আমার মার্কেটের ব্যবসায়ী আনোয়ার মিয়াকে ফোন করে বলেছেন, দুই দিনে মধ্যে দোকান কোঠা ছেড়ে অন্য কোথায় চলে যেতে। ছাত্রলীগ যুবলীগের ছেলেরা হামলা করবে।
আমার প্রশ্ন হল ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী কামাল হোসেন,ছাত্রলীগ বা যুবলীগ হামলা করবে এমন খবর যদি তার কাছে ছিল তাহলে তিনি পুলিশকে অবগত করতে পারতেন। কিন্তু পুলিশকে অবগত না করিয়া তিনি আমার ব্যবসায়ীকে মোবাইল ফোনে উল্টো দোকানকোঠা ছাড়িয়া যাওয়ার ভয়ভীতি দেখালেন তাই আমার প্রশ্ন জাগছে?।
এ ঘটনায় আমার খালা শিরিন আক্তার গত ২ আগস্ট ২০১৮ইং তারিখে শ্রীমঙ্গল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ একবার ঘটনাস্থলে গেলেও পরে দেখতেছি বলে তারা জানাই। আমার লন্ডন প্রবাসী মামার সম্পদ রক্ষার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর সুদৃষ্টি আহবান করছি।

সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ:
শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আবার বলেছেন, ইদানিং মশিউর রহমানের রিপনের ভাগ্নে আবু বক্কর সিদ্দিক মোহন লন্ডন চলে যাওয়ায় পূর্বে তার বাড়ির জমি জমা দেখাশুনা করবে বলে পাওয়ার অব এটর্নী দিয়েছে তার ভাগ্নে।
তারই আলোকে বলতেছি:- আবু বক্কর সিদ্দিকি ২০১৪ইং সালে লন্ডনে পাড়ি দেন। তার আগে সে দেশে ছিল তখন তো আবু বক্কর সিদ্দিকি মোহন শান্তিবাগের মার্কেট দাবি করলো না। এখন কেন তার মামা রিপন দোকানকোঠা দখল ও হামলা মামলা শুরু করলো।
আবার রিপন আবু বক্কর সিদ্দিকি মোহনের কেয়ার টেকার হয়ে আবার সেই ভূমি আতœসাৎ করতে ভূমিহীন সেজে লীজ নেয়ার আবেদন করেছেন। সে কতটুকু নিলজ্জ ও ভূমিলোভী হতে পারে তার প্রমাণ হিসেবে আবেদনের কপি সংযুক্ত করে দিলাম।

সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ:
সর্বশেষ মৌলভীবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ২৮ আগস্ট মঙ্গলবার আমার খালা শিরিন আক্তারকে আসামী করে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী জেসমিন বেগম,স্বামী সরাজ মিয়া,সাং বরুণা হাজিপুর। আর এই মামলার স্বাক্ষী হিসেবে জেলা পরিষদের সদস্য মশিউর রহমান রিপন,তার ভাই লিংকন মিয়া, বরুণা গ্রামের ফজর আলী মেম্বারের ছেলে মো.খোকন মিয়া। এই মামলায় স্বাক্ষী হিসেবে শ্রীমঙ্গল থানার এসআই জাকারিয়া।
আমার প্রশ্ন হল, জেসমিন বেগমের বাড়ী বরুণা গ্রামে। আর আমার খালা বাসার হল শ্রীমঙ্গল শহরতলীর শাহীবাগে। সেখানে কিভাবে গেল তাই আমার প্রশ্ন জাগছে। নেপথ্যে আবার রিপন।
তাহলে প্রমাণিত হয় যে, মশিউর রহমান রিপন একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার জন্য এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করাইয়াছেন।

সাংবাদিক ভাইয়েরা
আপনারা জাতির বিবেক,আপনারা হয়তো কিছুটা অবগত আছেন। মশিউর রহমান রিপন আমার মামা লন্ডন প্রবাসি আব্দুল হান্নানের শ্যালক। তার সাথে মামার দীর্ঘদিন ধরে তার সাথে পারিবারিক কোনো সর্ম্পক নাই। মশিউর রহমান রিপন লোভী এবং প্রতারক লোক বটে। আমার মামার প্রচুর টাকা পয়সা লুটপাট করে আতœসাৎ করেছে। এমনকি সর্বশেষ আমার মামার মৌরসীসত্ব ভূমি ও একাধিক বাসা বাড়ীসহ সম্পত্তি আতœসাৎ করার জন্য তার বাহিনী নিয়ে লিপ্ত রয়েছে। আর এসব জমি-জমা নিয়ে আদালতে মামলা চলতেছে।
আমি আপনাদের মাধ্যমে জানতে চাই জেলা পরিষদের সদস্য মশিউর রহমান রিপনের খুঁটির জোর কোথায়। তার এতো ক্ষমতার এতো দাপট যে প্রশাসনের যে কোনো কর্মকর্তা তটস্থ থাকেন। সে তার ভাগ্নে আবু বক্কর সিদ্দিকী মোহনকে প্ররোচনা দিয়ে আমার মামার সম্পদ আতœসাৎ করিতে সন্ত্রাসী ও কথিত ছাত্রলীগ,যুবলীগের নেতাকর্মীকে লেলিয়ে দিয়েছেন। এমনকি আমি ও আমার প্রবাসী মামাকে প্রাণে মারার উদ্যেশে নানা পরিকল্পনা করে আসছে।
একজন জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে মানুষের ভূমি দখলসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকায় প্রমাণিত হয় যে সমাজের সাধারণ মানুষ তার এই কর্মকান্ড অনুসরণ করবে এতে সমাজের লোকজন নানাভাবে তার স্বার্থে ব্যবহার করবেন। এতে তার কারণে উঠতি বয়সের যুবকরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়বে। আমি মশিউর রহমানসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকতাকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
পরিশেষে উপস্থিত সকল সাংবাদিক ভাইয়েরা ধ্যর্য ধরে আমাদের বক্তব্য শুনার জন্য অসংখ্যা ধন্যবাদ ও কতৃজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

মো.আব্দুল হালিম

চেয়ারম্যান
মৌলভীবাজার লাইফ কেয়ার হাসপাতাল,মৌলভীবাজার।

 

 

শেয়ার করুন