প্রত্যেক মানুষকেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ একটি স্বনামধন্য উপজেলা। সেই বৃটিশ আমলের পূর্ব থেকেই এই উপজেলায় জন্মগ্রহন করেছেন বিভিন্ন দেশ বরেণ্য গুণীজন, যার ধারাবাহিকতা এখনও বিদ্যমান। এখানে নতুনদের যেমন আবির্ভাব হচ্ছে তেমনি আমাদের কাছ থেকে চির বিদায় নিচ্ছেন অনেকেই, এটাই প্রকৃতির নিয়ম। আমাদেরকেও চলে যেতে হবে একদিন আর এই জায়গাটি দখল করে নিবে অন্য কেউ, নতুন প্রজন্মের নতুন কোনও মুখ।
আমি কোনও লেখক না, কিন্তু আমার আজ এতোকিছু লিখার একটিই কারন, আমরা প্রায় প্রতিদিনই হারাচ্ছি আমাদের কোনও না কোনও অভিবাবকদের। যাদের আদর্শ আমার পথের পাথেয় ছিলো। যাদের আদর, যত্ন আর ভালোবাসায় আমি আজ এখানে।
আমি আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি গত কয়েক মাসের মধ্যে আমাদের কাদিয়ে চিরতরে চলে যাওয়া আমাদের সবার পরিচিত জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব টরন্টোর সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরীর মাতা জনাবা জুবেদা চৌধুরীকে, আমি আরও স্মরণ করছি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির উদ্দিন সাদেক সাহেবকে, জনাব আলহাজ্ব আখলিছ চৌধুরীকে। আমি তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি, মহান আল্লাহ্পাক যেন তাদের পরিবারকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করেন।
তাছাড়াও রণকেলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বাবু শুধাংশু কুমার দাশও মরণব্যধি রোগে আক্রান্ত হয়ে আজ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন, আমি তাঁর আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।
পরিশেষে বলতে চাই সময়ের সাথে সাথে গোলাপগঞ্জবাসীরা হারাচ্ছি আমাদের যোগ্য অভিবাবকদের। একদিন হয়তো আমরা সবাই অভিবাবক শুন্য হয়ে পড়বো, কিভাবে ঘোচাবো সেই শুন্যতা?