স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গল রোডস্থ বেরিরপারস্থ “দি রয়েল হসপিটাল” নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগি নবজাতকের পিতা সিভিল সার্জন বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
যার অনুলিপি মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, মৌলভীবাজার, বিএমএ, মৌলভীবাজার ও মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব-কে দেয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বেতাহুঞ্জা গ্রামের সেলিম আহমদ ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় আর যাতে কোন নবজাতকের মৃত্যু না ঘটে এবং হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর সিভিল সার্জন বাছে অভিযোগ করেন।
২৩ আগষ্ট সেলিম আহমদ এর স্ত্রীর প্রসব ব্যাথা শুরু হলে সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার দি রয়েল হসপিটালে ভর্তি করেন। স্থানীয় গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাত ১০ ঘটিকায় রোগীকে দেখে একটি নরমাল ডেলিভারী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জেল ব্যবহার না করে অজ্ঞতনামা ঔষধ ব্যবহার করে রোগীর ব্যথা কমিয়ে রাখে। পরদিন ২৪ আগষ্ট রোগীর ব্যথা প্রচ- ব্যথা শুরু হলে ওটি রুমে নিয়ে যায়। সেলিম আহমদ তার স্ত্রী এবং বাচ্চার সুস্থতার জন্য যে কোন গাইনী ডাক্তারকে আনার অনুরোধ করলে ম্যানজার এবং ষ্টাফরা জানায়, তাদের এখানে নরমাল ডেলিভারীর জন্য প্রশিক্ষিত নার্স এবং ডাক্তার রয়েছে। কিন্তু মুলত সেখানে ২ জন শিক্ষানবিস নার্স এবং ১ জন আয়া ব্যাতিত অন্য কোন ডাক্তার ছিলনা। বেলা ২ টা ৫০ মিনিটে তার একটি পুত্র সন্তান হয়েছে এবং একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আনা হচ্ছে বলে জানানো হয়। বিকাল সাড়ে ৩ টায় এক জন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ক্লিনিকে এসে আমার সন্তানের অবস্থা খারাপ বলে আর কোন কথা না বলেই চলে যান।
কিন্তু ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নবজাতকের কিছু হার্ডবিট আছে বেশী সময় টিকবে না। তখন তিনি মা ও নবজাতকের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে স্থানান্তর করার অনুরোধ করেন ক্লিনিক কতৃপক্ষকে। পরক্ষণে তিনি ওটি রুমে প্রবেশ করে দেখতে পান নবজাতককে অক্সিজেন লাগানো আছে, কিন্তু চেহারা কালো বর্ণের হয়ে গেছে, শরীরে হাত দিয়ে দেখেন তার বাচ্চার শরীর বরফের মত ঠান্ডা। তখন তিনি তার বাচ্চা মারা গেছে বলে ধারনা করে কান্নাকাটি শুরু করেন। এমন সময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বাচ্চা মারা গেছে বলে তাকে শান্তনা দেয়।
এ ব্যাপারে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের পরিচালক ফাহাদ আলম মুঠোফোনে জানান, প্রথমে বাচ্চার অবস্থা ভালো ছিল বলে গাইনী বিশেষজ্ঞ জানান। পরবর্তীতে অনেক চেষ্টা করেও বাচ্চাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।