রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় সম্প্রীতি বিনস্টের কোন ঘটনা বাংলাদেশে আর দেখতে চাইনা- পীযূষ বন্দ্যোপাদ্যায়

স্টাফ রিপোর্টার॥ দেশের খ্যাতিমান নাট্য ব্যক্তিত্ব ও সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাদ্যায় বলেছেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় আমাদের মুক্তিযোদ্ধের দর্শন এবং হাজার বছরের ইতিহাসের উপরে যে আঘাত আসে সে আঘাত কতটা মারাত্মক হতে পারে সেটা আপনারা দেখেছেন ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগেও পরে। তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় সাম্প্রদায়ীকতা আর সম্প্রীতি বিনষ্টের কোন ঘটনা বাংলাদেশে আর দেখতে চাইনা। সমাবেশে এসব কথা বলেন দেশের গুণী এই নাট্য ব্যক্তিত্ব।

শনিবার ৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় মৌলভীবাজার পৌর মিলনায়তনে সম্প্রীতি সমাবেশের উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ফজলুর রহমান।

কবি সৌমিত্র দেব টিটুর সভাপতিত্বে ও সঙ্গীত শিল্পী ঝুমু রায়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড. সাজেদুল আওয়াল, রাহেলা বেগম , অধ্যাপক নিপেন্দ্র লাল দাস, মনু থিয়েটারের সাবেক সভাপতি নাট্য ব্যক্তিত্ব আসম সালেহ সোহেল, জীবন চক্র থিয়েটারের সভাপতি আনোয়ার হোসেন দুলাল, নাট্যকার আব্দুল মতিন, অধ্যাপক সৈয়দ মুজিবুর রহমান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মিন্টু, সম্মিলিত সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি নাট্য ব্যক্তিত্ব খালেদ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রণধীর রায় প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক বৃটিশ কাউন্সিলার ও যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এম. এ রহিম (সিআইপি), প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা শারমিন , সম্মিলিত সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলিম উদ্দিন আলিম, লেখক ও সংগঠক এড. মোহাম্মদ আবু তাহের।

পীযূষ বন্দ্যোপাদ্যায় আরো বলেন, এই দেশটা সম্প্রীতির দেশ, শান্তির ও সৌহার্দের দেশ, এদেশটা ভাতৃত্তের দেশ। এই বিশ্বাস, আস্থা  ছিল বলেই, ষাটের দশকে আমরা বাঙালী জাতীয়তাবাদের  আন্দোলনে একত্রিত হতে পেরেছিলাম। ২৬ এ মার্চের পর আমরা কিন্তু কেউ বসে থাকিনাই , কে মুসলমান,কে হিন্দু , কে বৌদ্ধ কেউ কিন্তু একা আলাদাভাবে ভাবিনাই। আমরা সম্মিলিতভাবে ভেবেছি যে না , আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের দেশের যে হাজার বছরের ইতিহাস সে ইতিহাসকে স্থায়ী রূপ দিতে হবে এবং মুক্তিযোদ্ধের মাধ্যমে আমরা সেটি অর্জন করেছি এবং প্রমান করেছি । আমাদের যে লক্ষ, পথচলা, দর্শন, সেটি আমরা নতুনদেও সামনে তুলে ধরতে চাই । আমাদের দেশের হাজার হাজার বছরের ইতিহাস, সম্প্রীতির ইতিহাস, কিন্তু এই সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রথম উদাহরন আমরা দেখেছিলাম , যখন আমরা বৃটিশদের শাসনে ছিলাম। তারা রোল সৃষ্টি করে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির করে সংঘর্ষ বাঁধিয়ে , হানাহানি, মারামারির বিজ রোপণ করে দিয়ে আমাদের হাজার বছরের সম্প্রীতির যে ইতিহাস সে ইতিহাসকে বিঘিœত করেছে।  উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে ,রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে , সামাজিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে দীর্ঘস্থায়ী আধিপাত্য বিস্তারের জন্য।

সমাবেশে পীযূষ বন্দ্যোপাদ্যায় জানান, গত ৭ জুলাই জাতীয় জাদুগরের প্রধান মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামের এই সংগঠনটি আতœপ্রকাশ করেছে।

শেয়ার করুন