মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
গণতন্ত্র, গণমাধ্যম, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও অনুসন্ধানী সাংবাকিতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি কারী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি কালো ধারা বাতিল ও আইনটি সংশোধনের দাবিতে মৌলভীবাজারে কর্মরত সাংবাদিকরা মানববন্ধন করেছেন।
১৭ অক্টোবর (বুধবার) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের আয়োজনে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে এ মানবন্ধন ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী এ মানবন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক চ্যানেল আইর প্রতিনিধি এম এ সালাম এর সভাপতিত্বে ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দেশ টিভির প্রতিনিধি সালেহ এলাহী কুটির পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কন্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক আব্দুল হামিদ মাহবুব, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এনটিভির স্টাফ করসপন্ডেন্ট এসএম উমেদ আলী, টেলিভিশন র্জানালিস্ট এসোসিয়েশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি ও সময় টিভির প্রতিনিধি শাহ ওয়ালিদুর রহমান, ইত্তেফাকের প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মুহিব, সমকালের প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম, মাছরাঙ্গা টিভির প্রতিনিধি তমাল ফেরদৌস দুলাল, কানাডা থেকে প্রকাশিত জালালাবাদবার্তার হেড অব নিউজ এবং ঢাকা ট্রিবিউন ও বাংলা ট্রিবিউনের মৌলভীবাজার প্রতিনিধি মো.সাইফুল ইসলাম, মৌমাছি কন্ঠের সম্পাদক শেখ সিরাজুল ইসলাম, মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার ইমাদ উদ দীন, যুগান্তরের প্রতিনিধি হোসাইন আহমদ, খবরপত্রের প্রতিনিধি শ ই সরকার জবলু, এশিয়ান টিভির মাহবুর রহমান রাহেল,প্রতিদিনের সংবাদের ওমর ফারুক নাইম, বাংলা নিউজের মাহমুদ এইচ খান।
এসময় অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আকমল হোসেন নিপু, যুমুনা টিভির প্রতিনিধি আফরোজ আহমদ, নয়া দিগন্তের আব্দুল আজিজ, মনুবার্তার সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, ভোরের পাতার এএস কাকন,বাংলা ৭১ এর মো: আব্দুল কাইয়ুম, আলোকিত সিলেটের এমদাদুল হক, বিজয় টিভির জাফর খান, জুলফিকার আলী ভুট্রো, মঞ্জু বিজয় চৌধুরী, আলী হোসেন রাজন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিক ও নাগরিকদের বাক স্বাধীনতায় নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করবে। এটি মুক্ত গণমাধ্যমের ওপর কড়াকড়ি আরোপ ছাড়া অন্য কিছু নয়।
তারা বলেন, এই আইনের কয়েকটি কালো ধারা বাতিল ও সংশোধনের দাবিতে দেশেরখ্যাত নামা সাংবাদিক ও সম্পাদকরা সম্পাদক পরিষদের ব্যানারে রাজপথে নেমেছেন।
স্বাধীন রাষ্ট্রের এমন দৃশ্য দেশ জাতি ও গণমাধ্যম কর্মীদের ব্যথিত করে। মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের সরকারের কাছে এমনটি কখন আশা করা যায় না।
গণতন্ত্র রক্ষায় ও রাষ্ট্রের কল্যাণে গণমাধ্যম কর্মীরা নিবেদীত হয়ে সবসময় কাজ করলেও এধরনের আইনের মাধ্যমে তাদেরকে অনেকটা রাষ্ট্রপৃষ্ঠপোষকতায় একধরনের তিরষ্কারই করারই নামান্তর। সরকার একদিকে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার আঘাত,অন্যদিকে এ কালো আইন তৈরি করে মানুষের স্বাধীনতা হরণ করেছে। যা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। মানবন্ধন ও পথসভা থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা অবিলম্বে বাতিল ও সংশোধন সহ সম্পাদক পরিষদের ন্যায়সঙ্গত ও যৌক্তিক দাবির সাথে একাত্ততা প্রকাশ করেন সাংবাদিকরা।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের মানবন্ধন
শেয়ার করুন