প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ॥ কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ও শমশেরনগর ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে পাহাড়ি দেওছড়া। কৃষি চাষাবাদ, মৎস্য আহরণে গুরুত্বপূর্ণ এই ছড়াটি ভরাট ও প্রশস্থতা হ্্রাস পাওয়ায় পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। ছড়াটি খনন ও সংস্কারে মৎম্য বিভাগের উদ্যোগে রোববার ২১ অক্টোবর বেলা ১১টায় ধূপাটিলা গ্রামে স্থানীয়দের সাথে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় কৃষক নেতা রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন। সভায় ছড়া ভরাটে নানা প্রতিবন্ধকতা তোলে ধরে বক্তব্য রাখেন নূরুল মোহাইমীন (মিল্টন), শফিকুর রহমান, শেরওয়ান আলী, মুহিবুর রহমান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, দেওছড়ার পানি দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে কয়েকটি অঞ্চলে বোরো চাষাবাদ করা হয়। কেছুলুটি, ধূপাটিলা অংশের জলাভূমিতে শীত মৌসুমে অতিথি পাথি বালিহাঁসসহ নানা প্রজাতির পাখির আবাসস্থল গড়ে উঠে। সকালে পাখির কিচিরমিচির শব্দে বাড়ি ঘরের লোকজনের ঘুম ভাঙ্গে।
তারা আরও বলেন, দেওছড়াকে কেন্দ্র করে কয়েকটি গ্রামের মানুষের প্রাকৃতিক মাছ আহরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তবে এটি ভরাট ও ঝোঁপ জঙ্গলে সংকোচিত হয়ে পড়ায় স্বাভাবিক পানি প্রবাহ না থাকায় এখন আর পূর্বের মত মাছ পাওয়া যায় না। সময়ের প্রয়োজনে এগুলো খনন ও সংস্কার বলে তারা দাবি করেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ছড়াটি ভরাট হওয়ায় পূর্বের চেয়ে পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। ভরাট হওয়া জলাশয়, বিল ও ছড়া খননে সরকার বদ্ধ পরিকর। বৃহত্তর স্বার্থে দেওছড়া, কাউয়াছড়া, ঢেপাজান বিল ও উপসিনালা খনন ও সংস্কারে উর্দ্বতন পর্যায়ে প্রস্তাব প্রেরণ করা হচ্ছে। তিনি আশাবাদী যে, তাদের প্রস্তাব গৃহীত হবে।