জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাথে কল্যাণে কাজ করতে চাই: ব্যারিষ্টার সীমা করিম

সৈয়দা সীমা করিম একজন তরুন ব্যারিষ্টার। বাংলাদেশ সুপ্রীম কাের্টের একজন আইনজীবি হিসেবে সীমা করিম নিজের পেশাদারীত্বের পাশাপাশি সামাজিক অঙ্গনেও অবদান রাখতে চান। সে কারণেই তিনি জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে জালালাবাদবাসী মহিলাদের কল্যাণে কাজ করতে আগ্রহী। এই আকাংখা থেকে এবারের আসন্ন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নির্বাচনে সি এম কয়েস সামি- নাসিরুদ্দিন মিঠু ও জসিম উদ্দিন প্যানেল থেকে ‘মহিলা বিষয়ক সম্পাদক’ পদে তিনি প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।

অন্যদিকে ড, একে আব্দুল মুবিন- জালাল আহমদ ও এম আব্দুর রউফ প্যানেল থেকে মহিলা সম্পাদক পদে প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন অধ্যাপক সালমা বেগম মুকুল। তিনি অটিজম প্রকল্পের -প্রকল্প পরিচালক ও জালালাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিদাতা।জালালাবাদ এসােসিয়েশনের নির্বাচন নিয়ে ব্যারিষ্টার সীমা করিমের মুখােমুখি হয়ে
জানতে চাই তাঁর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে। সীমা বলেন- আমি অনেক আগেই জালালাবাদ এসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য পদ লাভ করি। কিন্ত সক্রিয়ভাবে কােনো কাজের সুযােগ ছিল না। ছােট বেলা থেকেই আমার মন মানসিকতা ছিল সমাজের উন্নয়নে কাজ করা। সেই আগ্রহ আমার এখনো প্রবল। তূমুল ইচ্ছে জালাবাদের পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য কিছু করা। কিন্ত এককভাবে কখনো ব্যাপক ভিত্তিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। সামগ্রিক উন্নয়ন করতে হলে সাংগঠনিক ভাবে করা সম্ভব। আর এটার জন্য ঐতিহ্যবাহী জালালাবাদ এসোসিয়েশন একটি বড় সােপান। তবে জালালাবাদের নেতৃত্বে বারবার ঘুরে ফিরে পুরানো মুখ ও আমলারাই চলে আসছেন। এটা জালালাবাদবাসীর কাছে কাংখিত নয়। এসব কারণে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসতে পারছে না। পুরানো ধ্যান ধারণার জন্য জালালাবাদ এসোসিয়েশন সর্বক্ষেত্রে বড় ধরনের কােনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। মানুষ এসব নেতৃত্বের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। আমার মত অনেক তরুন-তরুনী এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অন্যতম কারণ। ক্ষমতায় নতুন নেতৃত্ব উঠে আসলে এসোসিয়েশন আরও গতিশীল হবে।

অন্যএক প্রশ্নের জবাবে সীমা বলেন-সিলেটের ছাত্র ছাত্রীরা দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে চাকুরীর জন্য পরীক্ষা দিতে আগ্রহী হয়না। কারণ সিলেটের মেয়ে ছেলেরা এভাবে যেতে বা থাকতে সাচ্চ্যন্দ বােধ করেনা। তারা সব সময়ই নিজস্ব একটি আবহে থাকতে পছন্দ করে। এবারের নির্বাচনে আমাদের প্যানেল বিজয়ী হলে দেশের প্রতিটি জেলায় জালালাবাদ এসোসিয়েশ ছাত্র ছাত্রী ও চাকুরী প্রার্থীদের জন্য নিরাপদ থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি জেলায়ই জালালাবাদের শাখা সংগঠন করার কর্মসূচি পরিকল্পনায় রয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে শিক্ষার ব্যাপারে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় ছেলে মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে উৎসাহী করার জন্য বিভিন্ন সেমিনারের আয়ােজন করব। ঢাকায় জালালাদের কর্মজীবি মহিলাদের নিরাপদে থাকার কােনো ব্যবস্থা নেই। কর্মজীবি মহিলাদের ঢাকায় নিরাপদে থাকার জন্য ২টি মহিলা হােস্টেল জরুরী। আমাদের প্যানেল জয়ী হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাকায় দুই সিটি তে দুটি মহিলা হােস্টেলের ব্যবস্থা করা হবে।

সিলেটের যােগাযােগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। সড়ক পথ রেলপথ কােনোটাই উন্নত নয়। যােগাযােগ ব্যবস্থার উন্নয়ন কল্পে জােরালোভাবে জনমত গড়ে তােলে সরকারের নজরে আনা এবং সরকারের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করানো হবে আমাদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

সীমা বলেন- নতুন মুখ না এলে জালালাবাদ অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছাবেনা। সাধারণ মানুষের কল্যাণ করতে হলে নেতৃত্ব বদল দরকার। বারবার প্রবীনরা এসে পদ দখল করে বসে থাকবেন আর নবীনরা স্থান পাবেন না এটা চলতে দেয়া যায়না। আর এটা বন্ধ করতে হলে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সন্মানিত ভােটারদের সুচিন্তিত রায় প্রয়ােজন।

সীমা মৌলভী বাজারের মেয়ে। তবে বাবার চাকুরীর সুবাদে ঢাকায়ই লেখাপড়া করেছেন।
এসএসসি-এইচ এসসি ঢাকা ভিকারুন নেছা নুন স্কুল ও কলেজ থেকে পাস করেন। এলএলবি করেন- ইউনির্ভাসিটি অব লন্ডন-বার এট ল লিংকনস্ ইনন-পোস্ট গ্রেজুয়েট ডিপ্লােমা নর্দামব্রিয়া ইউনির্ভাসিটি।

ব্যারিষ্টার সীমা করিমের পিতা সৈয়দ বজলুল করিম পুলিশেরএ আই জি পদ থেকে সেচ্ছায় অবসর নেন। তিনি ১৯৯৮ সালে কর্মের স্বীকৃতি স্বরুপ বাংলাদেশ পুলিশ পদক লাভ করেন। জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নির্বাচনে-সহ-সভাপতি (মৌলবী বাজার) পদে প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন। । একই প্যানেল থেকে নির্বাহী দুটি পদে পিতা ও মেয়ের নির্বাচন করায় মানুষের কৌতুহল ও আগ্রহ বাড়ছে। নির্বাচন হবে আগামী ২৭ অক্টােবর। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে দু প্যানের প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা ততই বাড়ছে। ভােটারদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।

শেয়ার করুন