মধ্যপ্রচ্যে বাংলাদেশের সংস্কৃতির বীজ বপণ করতে কুয়েতে যাত্রা শুরু করলো ‘বাংলাদেশ সংঙ্গীত একাডেমী’

কুয়েত প্রতিনিধিঃ

হৃদয়ের টানে শিকড়ের কাছে মানুষ ফিরবেই তা যেমন স্বাভাবিক, ঠিক তেমনি পরিবেশও মানুষকে পরিবর্তন করে তা চিরাচরিত নিয়মের বাঁধন।

প্রবাসে বেড়ে উঠা প্রজন্মের বেশীরভাগই সেই দেশের সংস্কৃতিতে আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে নিয়মের গতিতেই, যেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় শুরু হয় সেই দেশের জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে সেখানে আমাদের সন্তানরা কি করে বাংলা কৃষ্টি-কালচার ও সংস্কৃতিকে লালন-পালন করবে?

দুঃখজনক হলেও সত্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে আমাদের বাংলাদেশের একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হতে পারে নি এযাবৎ কাল। এরই মধ্যে আমাদের সংঙ্গীত পিপাসু কয়েকজন মিলে সিদ্ধান্ত নিলো যে করেই হোক বাংলার কৃষ্টি-কালচার ও সংস্কৃতির বীজ বপণ করতেই হবে কুয়েতে বেড়ে উঠা প্রজন্মের ভিতরে। চলছে জল্পনা-কল্পনা, শুরু হলো আলোচনা-মতবিনিময়, কিভাবে করলে কেমনে পৌঁছানোর যাবে ওদের কাছে? ছয়জন মিলে সম্মত হলেন বাংলাদেশ সংগীত একাডেমী করবেন। তারা বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে রাষ্ট্রদূতের কাছে পরিচালনা পরিষদ জমা দিলেন, যারা হলেন বাংলাদেশ একাডেমীর চেয়ারম্যান জনাব মানিক মোল্লা, পরিচালকবৃন্দ যথাক্রমে আব্দুর রাজ্জাক, জামাল উদ্দিন, আবু জাহের জাহিদ, কামাল আহমেদ এবং মিজানুর রহমান। গত ২৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) রাতে সংগীত প্রশিক্ষণের জন্য কুয়েতের জিলিব আল সুয়েকে একটি ঘর ফিতা কেটে কুয়েতে অবস্থানরত বিভিন্ন সামাজিক, সংবাদ কর্মী, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে উদ্ভোধন করা হয়। আগত ব্যক্তিবর্গরা বলেন এই উদ্যোগ একটি সময়পোযোগী ও মহৎ উদ্যোগ, এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে অবশ্যই কঠোর শ্রম দিতে হবে, তবেই তা আমাদের দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।

 

শেয়ার করুন