স্টাফ রিপোর্টার: সৈয়দ বজলুল করিম বিপিএম ১৬ জুলাই ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতা মরহুম আব্দুর রউফ এবং মাতা মরহুমা জামিলুর রেজা চৌধুরী ।১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তখন তিনি ছিলেন টগবগে একজন তরুণ ।
৪ নম্বর সেক্টরের অধীনে সম্মুখ সমরে তিনি অংশগ্রহণ করেন ।
সৈয়দ বজলুল করিম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি সম্পন্ন করে মালয়েশিয়ার পেনাল বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডিপ্লোমা ইন পলিসি ডেভেলপমেন্ট এর উপর ডিগ্রি অর্জন করেন । তিনি ১৯৭৩ সালে বি সি এস পুলিশ ক্যাডার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন । ১৯৭৪ সালে সারদায় সফল ট্রেনিং সম্পন্ন করে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দান করেন। তিনি পুলিশ বিভাগে চাকরিরত অবস্থায় আর্মি এটাচমেন্ট ট্রেনিং স্পেশালিস্ট জাঙ্গল গ্রহণ ওয়েলফেয়ার ট্রেনিং ইন্টারোগেশন কোর্স সম্পন্ন করেন । রেকর্ড মেনটেনেন্স কোর্স সফলভাবে সমাপ্ত করেন । ১৯৯৬ -৯৭ সালে দিছি ডিবি ঢাকা রেঞ্জের দায়িত্ব পালন করেন ।
১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ খেতাব বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল প্রদান করে।
স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের পর সৈয়দ বজলুল করিম দুই মেয়াদে অগ্রণী ব্যাংক লিঃ ও জনতা ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চাকুরীরত অবস্থা থেকেই বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে মানব সেবা কে ব্রত হিসেবে বেছে নিয়েছে । তিনি গরিব দুঃখী মানুষকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি চাকুরী দেওয়া , এতিমদের শিক্ষা ও চাকুরীর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করে গেছেন এবং এখনও তিনি সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে । তার এই মহানুভবতার কারণে তিনি শুধু বৃহত্তর সিলেটবাসীর কাছেই নয় বরং পুরো বাংলাদেশের মানুষের কাছে কম বেশি পরিচিত । তিনি যেসব জায়গায় চাকুরী করেছেন সেখানকার মানুষ তাকে এখনো শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে ।
সৈয়দ বজলুল করিম জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটিতে পূর্বেও ছিলেন এবং বর্তমানেও আছেন।
পাশাপাশি তিনি বৃহত্তর সিলেট সমিতি মিরপুর এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মৌলভীবাজার জেলা সমিতি , সিলেট বিভাগীয় উন্নয়ন পরিষদ, ঢাকা অফিসার্স ক্লাব, বরিশাল ক্লাব ,গাজীপুর ক্লাব, চট্টগ্রাম ক্লাবের সদস্য । তিনি আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টার্নেশনাল অ্যাসোসিয়েশন চিপস অফ পুলিশ এর সদস্য , এছাড়াও তিনি কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত । পেশাগত কারণে তিনি ইংল্যান্ড ,আমেরিকা, চীন, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ইতালি ,ফ্রান্স ,হাঙ্গেরি ,ভারত ,নেপাল, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ,থাইল্যান্ড ,অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেনতিনি আসন্ন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নির্বাচন ২০১৮ সহ-সভাপতি পদে কয়েস সামি, মিঠু, জসিম ,নাজ পরিষদের প্যানেল থেকে সহ সভাপতি মৌলভীবাজার পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ।
সৈয়দ বজলুল করিম জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সম্মানিত আজীবন সদস্য ও সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন , আমার সারা জীবন গুরুত্বপূর্ণ কর্মের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছি অবসর জীবন ও জালালাবাদবাসির কল্যাণে কাটিয়ে দিতে চাই। আমি আপনাদের সমর্থন কামনা করছি । আমার ও আমার প্যানেলের কে আগামীকাল আপনাদের সুচিন্তিত রায়ের মাধ্যমে বিজয়ী করে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবেন বলে আমার বিশ্বাস।