বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখায় জমি-জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে থানার এক এস.আইর যোগসাজসে প্রতিপক্ষ মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রবাসী, তার স্ত্রী ও সন্তানদের হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধু জয়গুন বেগম ২২ অক্টোবর মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগে দিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার তালিমপুর ইউপির গোপালপুর গ্রামের সুরমান আলী দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকেন। একই গ্রামের মিছবাহ উদ্দিন ও তার স্ত্রী দিলারা বেগমের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে মিছবাহ উদ্দিন প্রভাবশালী মহল ও পুলিশের যোগসাজসে প্রবাসী সুরমান আলী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক সাজানো মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলা দিয়ে হয়রানী ও ক্ষতিগ্রস্থ করছে। অভিযুক্তরা ঘোলসা গ্রামের জনৈক রিপা বেগমকে দিয়ে প্রবাসী সুরমান আলী গংদের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করে। এ মামলার অভিযোগ স্বাক্ষ্য প্রমাণে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত জয়গুন বেগমের স্বামীসহ গংদের খালাস প্রদান করেন। এ মামলায় ফাঁসাতে না পেরে মিছবাহ উদ্দিন গংরা গৃহবধু জয়গুন বেগমের শিশু ছেলেকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। স্থানীভাবে ঘটনার বিচার না পেয়ে তিনি প্রতিপক্ষের ৪ জনকে আসামী করে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (সি.আর-১১৮/১৮) দায়ের করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়। থানার এসআই সৃব্রত দাসকে হাত করে বিবাদী মিছবাহ উদ্দিন প্রবাসী সুরমান আলী, স্ত্রী, ছেলেসহ চারজনকে আসামী করে থানায় আরেকটি মামলা (জি.আর-১৮১/১৮) করে। এ মামলায় স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জামিন দেন। জামিনে মুক্তি পাওয়ায় প্রতিপক্ষের মিছবাহ উদ্দিন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে বড়লেখা থানার এসআই সুব্রত কুমার দাসকে দিয়ে তদন্ত ছাড়াই বাড়ি থেকে প্রবাসীর স্ত্রী জয়গুন বেগমকে গ্রেফতার করিয়ে ১৫১ ধারায় আদালতে চালান করেন। এ মামলায়ও জয়গুন জামিনে রয়েছেন।
প্রবাসী সুরমান আলীর স্ত্রী জয়গুন বেগম জানান, থানার এস.আই সুব্রত কুমারের মদদে মিছবা একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। একটি মামলায় জামিন নেয়ার পর আরেকটি মামলা দিচ্ছে। দারোগার আরো মামলা দেয়ার ও গ্রেফতার করার ভয়ভীতির কারণে জামিন নেয়ার পরও স্বামী-সন্তান নিয়ে তিনি বাড়ি ঘরে থাকছেন না।
এ ব্যাপারে এসআই সুব্রত কুমার দাস প্রবাসীর স্ত্রীকে হয়রানীর অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, জয়গুন বেগমকে দুইটি মামলায় তিনি গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। তিনি আইন অনুযায়ী সবকিছু করেছেন। ইল-লিগ্যাল কোন কাজে তিনি জড়িত নন।