বিএনপি’র মনোনয়নপ্রত্যাশী সাজু কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দেশে বেকারত্ব দূরীকরণে কাজ করতে চাই

স্টাফ রিপোর্টার॥ আসন্ন একদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়নপ্রত্যাশী কাতারস্থ প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ও সফল ব্যবসায়ী বড়লেখার কৃতি সন্তান শরিফুল হক সাজু। বিএনপি কাতারস্থ ধানসিঁড়িঁ শাখার বর্তমান সদস্যসচিব শরিফুল হক সাজু।

দেশে নিজ জন্মভূমি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় রাজনীতিতে তিনি সক্রিয় রয়েছেন। কাতারে পারফিউম, রেস্তোরাঁ ও গার্মেন্টস ব্যবসায় সফল শরিফুল হক সাজু সংসদ সদস্য হয়ে প্রবাসী ও দেশের তরুণ সমাজকে এগিয়ে নিতে চান। নিজের সফলতাকে কাজে লাগিয়ে কার্যকরী উদ্যোগ প্রহণের মাধ্যমে দেশে বেকারত্ব দূরীকরণে নিজেকে আত্মৎস্বর্গ করতে চান তিনি।

শরিফুল হক সাজু বড়লেখা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সুজানগর ইউনিয়নের হাসিমপুর গ্রামের হাজ্বী শামছুল হকের ছেলে। ১৯৯০ সালে ছাত্রজীবনে বড়লেখায় ছাত্রদলের রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি সিলেট মদনমোহন কলেজ ছাত্রদলের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর বড়লেখা উপজেলা ছাত্রদলের ১৯৯৮-৯৯ কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন। এভাবেই তিনি বিএনপি’র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।

২০০০ সালে তিনি কাতারে চলে যান। সেখানে ব্যবসার পাশাপাশি নিজের প্রাণের সংগঠন বিএনপিকে প্রতিষ্ঠার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। প্রথমে কাতারস্থ ধানসিঁড়িঁঁ (শাখার) বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরবর্তীতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। পাশাপাশি যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ধানসিঁড়িঁ বিএনপি কাতার শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জেলার বড়লেখা-জুড়ীর অসহায় মানুষের বন্ধু হিসেবে পরিচিত শরিফুল হক সাজু বন্যা-দুর্যোগসহ যেকোনো সমস্যায় মানুষের কল্যাণে তাঁর সাহায্যের হাত সবসময় প্রসারিত থাকে। দলীয় নেতাকর্মীদেরও বিভিন্ন বিপদ সংকটে সবার আগে এগিয়ে আসেন তিনি। প্রবাসে বিপদগ্রস্থ অসহায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যায়ও তাঁর সহযোগিতার ভূমিকা অপরিসীম।

শরিফুল হক সাজু বলেন, বিশ্বজুড়ে বর্তমানে দেড় থেকে দুই কোটি প্রবাসী নানা দেশে বসবাস করছেন। প্রবাসে প্রবাসীদের নানা সমস্যা রয়েছে, যা আজ পর্যন্ত কেউ জাতীয় সংসদে প্রবাসীদের প্রতিনিধি হিসেবে তুলে ধরেনি। আমি এই বিপুলসংখ্যক প্রবাসীদের কথা জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে চাই।

তরুণ নেতা সাজু বলেন, বাংলাদেশের তরুণ সমাজের কণ্ঠস্বর হিসেবে তাদের দাবি-দাওয়া আদায়ে আমি সক্রিয় ভূমিকা রাখতে চাই। তাদেরকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে সুন্দর কর্মময় জীবন গঠনে কার্যকরী উদ্যোগ প্রয়োজন। এজন্য নিজের ব্যবসায়ীক সফলতার অভিজ্ঞতার আলোকে বেকারত্ব দূরীকরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চাই। আগর-আতরের স্বর্গরাজ্য সুজানগরসহ উপজেলায় আগর-আতরের শিল্পকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ ও প্রণোয়ন করে এই শিল্পকে বিশ্বের কাছে আরো প্রতিষ্ঠিত করা প্রয়োজন। এজন্য এলাকার মানুষের সহযোগিতা নিয়ে জাতীয় সংসদের একজন সদস্য হিসেবে এই শিল্পকে প্রসারিত করার সমস্থ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাই।

তিনি বলেন, স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আস্থা ও আগ্রহ আমার মনোনয়ন প্রত্যাশার মূলশক্তি।

শরিফুল হক সাজু জানান, এ আসনে জন-নন্দিত নেতা অ্যাড. এবাদুর রহমান অসুস্থ্য আর তাই দল যদি তৃণমূলের মতামত নিয়ে প্রার্থী চূড়ান্ত করে, তবে তিনি মনোনয়ন সম্ভাবনায় এগিয়ে থাকবেন। আর যদি দল অন্য কাউকে মনোনয়ন দেয়, তবে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে তিনি কাজ করে যাবেন।

তিনি অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন। তিনি বলেন, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বয়োবৃদ্ধ নারীর উপর এমন অমানবিক নির্যাতনের নমুনা কেবল আওয়ামী লীগের পক্ষেই সম্ভব।

সাজু বলেন, বাংলাদেশে তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে রায় দেওয়া হয়েছে, তা ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতি ও প্রতিহিংসার চূড়ান্ত নিদর্শন। বাংলাদেশের আদালত আজ আওয়ামী লীগের দলীয়করণের কালোহাতে ক্ষতবিক্ষত, সেটা আবারও প্রমাণিত হলো। তবে যত ষড়যন্ত্রই হোক, তারেক রহমানের অগ্রযাত্রা কেউ ঠেকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতাচুত্য করা হবে। তাই সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান এই প্রবাসী নেতা শরিফুল হক সাজু।

শেয়ার করুন