বড়লেখা প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের সালদিগা-বড়থল গ্রামের সংযোগ রাস্তা পূর্ব সালদিগা জামে মসজিদের সম্মুখে বশির মিয়ার বাড়ীর সামনে মাধবছড়ার উপর কালভার্ট নির্মানের খবরে গ্রামবাসী আনন্দিত হলেও একটি প্রভাবশালী কুচক্রীমহল ইর্ষান্বিত নারাজ হয়ে পরিকল্পিতভাবে এটি নির্মাণ বন্ধের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছে। সালদিগা ও বড়থল গ্রামের সংযোগ মাধবছড়ার উপর কালভার্ট নির্মানের জন্য গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী প্রতি গুরুত্ব দিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ আলহাজ্ব মোঃ শাহাব উদ্দিন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেন। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর বিগত ১০ মে ২০১৮ সালে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে এর মাধ্যমে নিপা সুপার এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। সালদিগা বড়থল গ্রামের প্রায় অর্ধশত পরিবারের শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ মসজিদ, মাদ্রাসায় উক্ত ছড়ার উপর বাঁশের তৈরী সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া গ্রামের সাধারণ জনসাধারণ বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধ লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে চলাচল করেন। বিশেষ করে লোকজন অসুস্থ হলে বা মারা গেলে সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। সালদিঘা গ্রামের তইমা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন পর স্থানীয় সংসদ সদস্য আমাদের কষ্টের কথা শুনে ছড়ার উপর কালভার্ট নির্মাণের ব্যবস্থা করেছেন। শুনেছি কিছু স্বার্থানেষী মহল এটি বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন।
এ ব্যাপারে সুজানগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমরুল ইসলাম লাল বলেন, মাধবছড়ার উপর কালভার্ট নির্মাণ করা অতি জরুরী। একশ্রেণীর প্রভাবশালী লোকজন সরকারের উন্নয়ন কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে উঠেপড়ে লেগেছে। জনদূর্ভোগ লাগবে জরুরী ভিত্তিতে কালভার্টটি নির্মাণ করতে হবে।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি যে স্থানে ব্রীজ হওয়ার কথা সেটি আমি পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ এসেছে খালটির প্রশস্ত নিয়ে এলাকার পানি নিষ্কাষনের জন্য ব্রীজটি আরো বড় হওয়া দরকার। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলেছি। প্রতিবেদন দিলে উপজেলা কমিটির মাধ্যমে আমরা ব্যবস্থা নেব।